ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

হাইজাম্পে ক্যারিয়ারসেরা নৈপুণ্য সত্ত্বেও শুভর রৌপ্যজয়

প্রকাশিত: ১৩:০৬, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯

হাইজাম্পে ক্যারিয়ারসেরা নৈপুণ্য সত্ত্বেও শুভর রৌপ্যজয়

স্পোর্টস রিপোর্টার, কাঠমান্ডু, নেপাল থেকে ॥ মঙ্গলবার থেকে মাঠে গড়িয়েছে এ্যাথলেটিক্স। প্রথমদিনই পদক পেয়েছে বাংলাদেশ। সেটা রৌপ্য। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ্যাথলেট মাহফুজুর রহমান শুভ উচ্চলাফে যৌথভাবে রুপার পদক জেতেন। এসএ গেমসের ইতিহাসে বাংলাদেশ এই ইভেন্টে এই প্রথম কোন পদক জিতল। ফলে শুভ গড়লেন নয়া ইতিহাস। দশরথের রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে নিজের ইভেন্টে ২.১৬ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে রৌপ্যপদক জেতেন শুভ। এটা তার ক্যারিয়ারসেরা নৈপুণ্য। এর আগে এ বছরই অনুষ্ঠেয় জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ২.১৫ মিটার লাফিয়ে জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। এবার সেটাকে ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়ে রৌপ্য জিতলেন। তার সঙ্গে যৌথভাবে ২.১৬ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে ভারতের চেতন বালাসাব রৌপ্য জেতেন। আর ২.২১ মিটার লাফিয়ে স্বর্ণ জেতেন ভারতের অনীল কু সার্ভেস। পদকজয়ের পর শুভ বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ভারতে গিয়ে একটি এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ জেতার পর আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছিল। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই এবার খেলেছি। আগে এক লাফে ভাল করলে পরেরটায় খারাপ করতাম। কিন্তু ভারতে স্বর্ণ জেতার পর ধারাবাহিকতা ফিরে পেয়েছি। আমার বিশ্বাস ছিল যে যদি নিজের সেরাটা দিতে পারি তাহলে একটা ফল আসবে।’ মাঠে তার প্রতিপক্ষ ভারতের দুই এ্যাথলেট অনীল ও চেতন । একজনের জাতীয় রেকর্ড ২.২৬ মিটার অন্যজনের ২.২৫ মিটার। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই লড়েন শুভ। শেষ পর্যন্ত ২.১৬তেই আটকে গেলেন মাহফুজ ও চেতন। প্রায় ১৫ মিনিট টেকনিক্যাল ও জাজ প্যানেল দু’জনকেই রৌপ্যপদকের জন্য মনোনীত করলেন। সারভেসের কাছে মাহফুজের বিষয় জানতে চাইলে বলেন, ‘অনেক উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। প্রথমে তাকে পাত্তা দেইনি। কিন্তু তার প্রথম জাম্প দেখার পরই ধারণা পাল্টে যায়। দুই মিটারের পর যখন পাল্লা দিয়ে সে লাফাচ্ছিল তখন বুঝতে পেরেছি একটা পদক সে পাবে। কিন্তু তার কাছে হেরে যাব সেটি একবারও মনে হয়নি। কারণ আমার ঘরের রেকর্ড ২.২৬ মিটার। পরিচর্যা করলে সে আরও ভাল করবে। টেকনিক্যাল উন্নতি দরকার।’ মাহফুজ আরও জানান, ‘ব্যক্তিগত বেস্টটা করতে পেরেছি। ভারত থেকে প্র্যাকটিসে অনেক পিছিয়ে আছি। তারা বাইরে অনুশীলন করে। প্র্যাকটিস ভাল করে করতে পারলে আমারও উন্নতি হবে। গত গুয়াহাটি আসরে ২.০০ মিটার লাফিয়ে চতুর্থ হয়েছি। খেলাধুলায় পুরো অবদান নৌবাহিনীর কোচ রফিকুল ইসলাম স্যারের। ১.৭৩ মিটার লাফিয়ে আমার শুরু। ওনার সান্নিধ্যে ১.৯০ মিটার লাফিয়ে দ্বিতীয় হই। তখন ২০১৬ সালে এসএ গেমসের ক্যাম্পে ডাক পাই। ২.১৭ করে হই চতুর্থ।’ মঙ্গলবার বাংলাদেশের অন্য পদকগুলো উশু ॥ ছেলেদের উশুর চ্যাং চুয়ান ইভেন্টে রৌপ্যপদক জেতেন বাংলাদেশের ওমর ফারুক। শূটিং ॥ মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে দলগত ইভেন্টে রৌপ্যপদক জিতেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলের শূটাররা হলেন সৈয়দা আতকিয়া হাসান দিশা, উম্মে জাকিয়া সুলতানা টুম্পা ও শারমিন আক্তার রতœা। দিশা ও টুম্পা একক ইভেন্টেও সেরা আটে স্থান পেয়েছিলেন। কিন্তু দিশা পঞ্চম ও টুম্পা সপ্তম হয়ে পদকশূন্য থাকেন। এছাড়া ছেলেদের ৫০ মিটার এয়ার রাইফেল থ্রি পজিশনে রৌপ্যপদক জিতেছে বাংলাদেশ। এই দলের শূটাররা হলেন ইউসুফ আলী, আবদুল্লাহ হেল বাকী এবং শোভন চৌধুরী। তবে এককে সুবিধা করতে পারেননি প্রথম দু’জন। শোভন ফাইনালের আগেই বিদায় নেন। ইউসুফ ষষ্ঠ ও বাকী সপ্তম হন।
×