স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের অসচ্ছল থাকাটা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জার বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভাতা করুণা নয়, এটা তাদের অধিকার। একই সঙ্গে পাবনা, চাঁদপুর, কুষ্টিয়া ও মাগুরার ২০৮ জন মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও মামলার কার্যক্রম পরিচালনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রফিকুল বারী।
এদিকে অনিয়মের অভিযোগের একদিনের মাথায় সুপ্রীমকোর্টের ফাইলিং ও এফিডেভিট শাখার ৩১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ ও সুপ্রীমকোর্ট প্রশাসন এ আদেশগুলো প্রদান করেছে।
জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের অসচ্ছল থাকাটা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জার বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পাবনা, চাঁদপুর, কুষ্টিয়া ও মাগুরার ২০৮ জন মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পৃথক ৮টি রিটের জারি করা রুল মঞ্জুর করে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি আহমদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন তৌফিক ইনাম টিপু। পরে অমিত দাসগুপ্ত বলেন, কয়েকজন আবেদনকারী আগে ভাতা পেতেন। কিন্তু পরে তাদের এটা বন্ধ করা হয়েছিল। কেননা তাদের গেজেট হয় নাই। এ কারণে গেজেটভুক্ত ও ভাতা চেয়ে তারা রিট করেন। বাকিদের যাচাই-বাছাই কমিটি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তভ্র্ক্তু করতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এর কাছে সুপারিশ করে। জামুকা এটি মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। কিন্তু মন্ত্রণালয় তাদের গেজেটভুক্ত করেনি। এটা চ্যালেঞ্জ করে তারা রিট করেন। মঙ্গলবার আদালত রায় দিয়ে বলেছে, ২০৮ জনকে গেজেটভুক্ত করে ভাতা প্রদানে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে। রায় পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।
নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ॥ উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও মামলার কার্যক্রম পরিচালনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রফিকুল বারী। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একে এম জহিরুল হকের বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
অনিয়মের অভিযোগে সুপ্রীমকোর্টের ৩১ কর্মকর্তা কর্মচারী বদলি ॥ অনিয়মের অভিযোগের একদিনের মাথায় সুপ্রীমকোর্টের ফাইলিং ও এফিডেভিট শাখার ৩১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে।
