এমপিও নীতিমালা সংশোধনী কমিটির কাছে ১০ দফা দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ সংশোধনী কমিটির কাছে ১০ দফা দাবি পেশ করেছেন আন্দোলরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। আন্দোলনরত বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের ব্যানারে মঙ্গলবার শিক্ষকরা কমিটির কাছে তাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের সভাপতি সাইদুল হাসান সেলিম, সহ-সভাপতি মুদাচ্ছির আলম, যুগ্ম সচিব অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল ইসলাম মাসুদ, প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান দুলাল প্রমুখ। সংশোধনের দাবিগুলো হচ্ছে, বেসরকারী কলেজ শিক্ষকদর অনুপাত প্রথা (৫:২) বাতিল কর সরকারী নিয়ম সহকারী অধ্যাপক পদ পদোন্নতি দিতে হবে। ধারা ১১.৪ এ উল্লেখিত পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকদের পূর্বের ন্যায় (২০১০ এর নীতিমালা) আট বছর পূর্তিতে নবম গ্রেড থেকে সপ্তম গ্রেড প্রদান, কোন কারণে তা সম্ভব না হলে প্রভাষকদর প্রারম্ভিক গ্রেড নবমের পরিবর্তে আট করে ১০ বছর সপ্তম গ্রেড এবং ১৬ বছর ষষ্ঠ করা। নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে পাবলিক পরীক্ষার্থীর নূন্যতম সংখ্যা ৪০ জন এবং পাসের হার ৭০ শতাংশ বাধ্যতামূলক, এমন কালো আইন বিলুপ্ত করতে হবে। গবর্নিংবডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা নূন্যতম স্নাতক ডিগ্রী করতে হবে। অবিলম্বে বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির নীতিমালা প্রণয়ন ও তা দ্রুততম সময় বাস্তবায়ন করত হবে। দেশের ৯৭ শতাংশ শিক্ষার দায়িত্ব পালন করেন এমপিওভুক্ত বেসরকারী শিক্ষকরা। শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন সেরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে তা দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা। নীতিমালার পরিশিষ্ট ঘ এ উল্লেখিত প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্র পূর্বের ন্যায় সহকারী শিক্ষক/প্রভাষক পদের অভিজ্ঞতা বহাল রাখা। সরকারী স্কুল কলেজের গ্রন্থাগারিকদের মর্যাদার মতো বেসরকারী স্কুল কলেজের গ্রন্থাগারিকদের শিক্ষকের মর্যাদা দিতে হবে। ২০০৯ এবং ২০১৩ এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুযায়ী শিক্ষকতায় আট বছর এবং ১২ বছর দুটি উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে। ২০১৫ এর পূর্বের ন্যায় সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণ করতে হব। যতদ্রুত সম্ভব জাতীয় শিক্ষানীতি এবং এমপিওভুক্তি ও জনবল নীতিমালা অনুসারে শিক্ষা আইন প্রকাশ করতে হবে। এমপিও নীতিমালা সংশোধন কমিটির প্রথম সভা আজ ॥ বেসরকারী স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনে গঠিত কমিটির প্রথম সভা আজ অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। সভায় সভাপতিত্ব করবেন কমিটির আহ্বায়ক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ। এছাড়া কমিটিতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর, এনটিআরসিএ, ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তারা সদস্য হিসেবে আছেন। মন্ত্রণালয়ের বেসরকারী মাধ্যমিক শাখার উপসচিবকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। আন্দোলরত এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার এবং সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয় ভূষণ রায়কে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এর আগে গত ১২ নবেম্বর বেসরকারী স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এক মাসের মধ্যে এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের সুপারিশ করতে বলা হয়েছে এ কমিটিকে। কমিটিতে ননএমপিও শিক্ষক নেতারাও সদস্য হিসেবে আছেন। স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংস্কারের সুপারিশ করবে এ কমিটি।