ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি অফিসে সংবাদ সম্মেলন

বিদ্যুতের দাম বাড়ালে কঠোর কর্মসূচী ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ১১:২৯, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯

বিদ্যুতের দাম বাড়ালে কঠোর কর্মসূচী ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দলীয় সিন্ডিকেটের কারণে সরকার পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে সরকার। এবার যদি বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় তবে কঠোর কর্মসূচী নিয়ে রাস্তায় নামবে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারকে অসহনীয় করে তুলেছে সরকার। দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশচুম্বী। গত ১৩ বছরে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে ২ থেকে ৩ গুণ। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণের কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না সরকার। পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি শুধু বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, সবাইকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে। সরকার দেশবাসীর কাছ থেকে তাদের ভোটাধিকার আর নাগরিক মর্যাদাই ছিনিয়ে নেয়নি, তাদের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-শান্তিও কেড়ে নিয়েছে। আর এ কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। দলীয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট না ভাঙ্গতে পারলে এবং টিসিবিকে অধিকতর কার্যকর করতে না পারলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সরকারের। কে কি খাবে তা নির্ধারণ করা সরকারের দায়িত্ব নয়। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ফখরুল বলেন, জনগণের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-শান্তি একের পর এক কেড়ে নিচ্ছে গণবিরোধী এই সরকার। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক সঙ্কট, পাহাড় সমান দুর্নীতির চিত্র এবং গুম, খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় গোটা রাষ্ট্র গণতন্ত্রবিহীন হয়ে পড়েছে। এর ফলে এখন দেশের জনগণকে পদে পদে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফখরুল বলেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কয়েক মাস যাবত আমরা কথা বলছি। দেশের সকল গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিদিন রিপোর্ট হচ্ছে। সরকারপ্রধান নিজেও বলেছেন পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে, আর কোন সমস্যা নেই। এদিকে পেঁয়াজের ঝাঁজে এখন চাল, ডাল, লবণ, তেল, আদা, রসুন থেকে শুরু করে শীতকালীন সকল সবজিতে সংক্রমিত হয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে রান্নার জন্য ব্যবহৃত প্রতিটি জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে জনগণকে পেঁয়াজ খেতে নিষেধ করছে। তাহলে চালের মূল্য কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা, আটার মূল্য ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে তারা এখন কি খেতে বলবেন। তারা কি বলবেন ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিতে? রুটি খাওয়া বন্ধ করে দিতে? ভোজ্যতেলের দামও বেড়েছে, সুতরাং তেল খাওয়াও কি বন্ধ করে দিতে হবে? আপনাদের কি মনে হয় এগুলো সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না? সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
×