ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার জামিনে সরকারের হস্তক্ষেপের প্রশ্নই ওঠে না

প্রকাশিত: ১১:১৬, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯

খালেদা জিয়ার জামিনে সরকারের হস্তক্ষেপের প্রশ্নই ওঠে না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরি করার কারণে প্রথমে বিচারিক আদালতে এবং পরে উচ্চ আদালতে দণ্ডিত হয়েছেন। আবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা আত্মসাত করার জন্য তিনি দ-িত হয়েছেন। এখানে সরকারের প্রতিহিংসার কোন প্রশ্নই ওঠে না। তার জামিনের বিষয়টিও আদালতের এখতিয়ারে। সরকারের এখানে হস্তক্ষেপ করার কোন প্রশ্নই ওঠে না। বিএনপি আমলে আদালতকে যেভাবে নিজেদের পকেটে রাখা হতো সেই অবস্থা এখন আর নাই। বিচার বিভাগ এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন। ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে এই আইন সংশোধনের জন্য উত্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে একজন যুগ্ম-জেলা জজ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আইনটি সংশোধন হলে যুগ্ম-জেলা জজের পাশাপাশি সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজরাও এই মামলাগুলোর বিচার করতে পারবেন। এতে করে মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়বে। মঙ্গলবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জিপি (সরকারী কৌশুলী) এবং পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর)দের জন্য আয়োজিত ২১তম বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, একসেস টু জাসটিসকে করার ক্ষেত্রে জিপি-পিপিগণকে সেবার মানসিকতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সর্ব অবস্থায় আদালতের নির্দেশনা পালন করে আদালতের মামলা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে হবে। তিনি বলেন, প্রায়শই শুনা যায় কোন কোন জিপি-পিপি বিভিন্ন অজুহাতে আদালতে সময়ের দরখাস্ত দাখিল করে থাকেন যা মোটেই ঠিক না। বলেন, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে অবশ্যই আদালতের সময় ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সকল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। আদালতে সঠিক সময়ে সাক্ষী হাজিরসহ নির্ধারিত তারিখে সাক্ষী পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হতে হবে। এক্ষেত্রে কোন ঢিলেঢালা বা গড়িমসি কাম্য নয়। মামলার জট কমিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কতিপয় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেওয়ানী কার্যবিধি এবং অর্থ ঋণ আদালত আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির সহায়ক আইন করা হয়েছে। জিপি- পিপিদের এ আইনের বিধানগুলো অনুসরণ করতে হবে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণসহ আইনজীবীগণকে এ বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করতে হবে। তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিচার বিভাগকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় টেকশই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং রূপকল্প-২০২১ এর লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য আইন মন্ত্রণালয় বিচার বিভাগকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করে আসছে। সরকার সরকারী কৌশুলী এবং পাবলিক প্রসিকিউটরগণের সার্ভিসকে একটি সুনির্দিষ্ট আইনের আওতায় এনে যুগোপযোগী করার কথা ভাবছে। খুব সহসাই সরকার এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার আলোকে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
×