ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাবি উপাচার্য ড. সোবহান কোন্ কর্তৃত্ববলে বহাল- হাইকোর্টের রুল

প্রকাশিত: ১০:২৮, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

 রাবি উপাচার্য ড. সোবহান কোন্ কর্তৃত্ববলে বহাল- হাইকোর্টের রুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান কোন্ কর্তৃত্ববলে পদে বহাল আছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। অন্যদিকে মোট ঋণের ২ শতাংশ জমা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জারি করা ঋণের পুনর্তফসিলের সুবিধা নন-ব্যাকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চগুলো এ আদেশ প্রদান করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান কোন কর্তৃত্ব বলে পদে বহাল আছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মোঃ ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে অধ্যাপক সোবহান, রাষ্ট্রপতির সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, ইউজিসি সচিবসহ আট বিবাদীকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী সঙ্গে ছিলেন এ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান। এর আগে গত ১৫ মে অধ্যাপক সোবহানের অপসারণ চেয়ে আইনী নোটিস পাঠানো হয়। অসত্য তথ্য দিয়ে পুনরায় ভিসি পদে বহাল থাকার অভিযোগ এনে এই নোটিস পাঠানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী মুহাঃ মুজাহিদুল ইসলাম নোটিস পাঠান। নোটিসে বলা হয়, অধ্যাপক সোবহান রাবি উপাচার্য হিসেবে ২০১৭ সালের ৭ মে চার বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পান। ওই দিনই তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর একই বছরের ২১ জুন তিনি উপাচার্যের পদে থেকে ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। আবার ওই দিনই তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। ফলে উপাচার্যের পদে সাময়িক শূন্যতার সৃষ্টি হয়। উপাচার্য পদে সাময়িক শূন্যতা পূরণে রাষ্ট্রপতির অনুমতি ছাড়াই এক দিনের জন্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আখতার ফারুককে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়, যা ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের পরিপন্থী। এই নোটিসের জবাব না পাওয়ায় গত ২৪ জুলাই হাইকোর্টে রাবির সাবেক শিক্ষার্থী সালমান ফিরোজ ফয়সাল রিটটি দায়ের করেন। খেলাপী ঋণের ২ শতাংশ সুবিধা নন-ব্যাংকিং গ্রাহকদের কেন নয় মোট ঋণের ২ শতাংশ জমা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জারি করা ঋণের পুনর্তফসিলের সুবিধা নন-ব্যাকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের মহাব্যবস্থাপক, ব্যাকিং প্রবিধি ও নীতিমালা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক, ফনিক্স ফাইন্যান্স এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পাঁচজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মোঃ খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে এদিন রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল নুর-উস সাদিক। ফনিক্স ফাইন্যান্সের ঋণগ্রহীতা মোঃ ইউনুস পাটওয়ারী রিট আবেদনটি দায়ের করেন। এর আগে তিনি ফনিক্স ফাইন্যান্স ও বাংলাদেশ ব্যাংকে ২ শতাংশ ঋণ সুবিধা পেতে আবেদন করেন। তাকে জানানো হয়, এ ঋণ সুবিধা শুধু ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের জন্য প্রযোজ্য। চলতি বছরের ১৬ মে ব্যাংকের ঋণখেলাপীদের ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতিমালা বিভাগ (বিআরপিডি)। অন্যদিকে নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রিত হয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের অধীন (ডিএফআইএম)। ফলে বিআরপিডির বিজ্ঞপ্তির সুবিধা ডিএফআইএম’র জন্য কার্যকর নয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর ইউনুস পাটওয়ারীর পক্ষে আইনী নোটিস দেয়া হয় বাংলাদেশ ব্যাংককে। নোটিসের কোন জবাব না পেয়ে তার পক্ষে রিট দাখিল করেন আইনজীবী রাজু হাওলাদার পলাশ। ওই রিটের ওপর এদিন রুল জারি করা হলো। গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ পুনর্তফসিল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সরল সুদে ১০ বছরের ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেয়া হয় ঋণখেলাপীদের।
×