ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উৎসব পরিবেশে শান্তি চুক্তির ২২তম বার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত: ১০:২৭, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

 উৎসব পরিবেশে শান্তি চুক্তির ২২তম বার্ষিকী পালিত

মোয়াজ্জেমুল হক/জীতেন বড়ুয়া/মোহাম্মদ আলী ॥ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর আনন্দঘন পরিবেশে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২তম বর্ষপূর্তি পালন করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতির সমিতির সঙ্গে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে দীর্ঘ দুদশকেরও বেশি সময় ধরে বিরাজমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়। শান্তিচুক্তির ২২তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে পাহাড়ে সরকারী, সামরিক প্রশাসন এবং জেএসএসের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল ব্যাপকভাবে জোরদার। এবার খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (সন্তু লারমা), চুক্তির বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই বিরোধিতাকারী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ), সমঅধিকার আন্দোলন, বাঙালী ছাত্র পরিষদ, গণপরিষদ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট এবার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তির ২২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কোন কর্মসূচী পালন করেনি। খাগড়াছড়ি কর্মসূচী পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২তম বর্ষপূর্তিতে দিবসটিকে ঘিরে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন সদর দফতর সোমবার সকাল ৯টায় শহরে বের করে বর্ণাঢ্য এক আনন্দ র‌্যালি। পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শান্তির কপোত সাদা পায়রা উড়িয়ে বর্ণাঢ্য এ র‌্যালির উদ্বোধন করেন উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ফয়জুর রহমান, খাগড়াছড়ি ডিজিএফআই কমান্ডার কর্নেল মোঃ নাজিম উদ্দিন, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজুরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ^াস, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাহ উদ্দিন, পৌর মেয়র রফিকুল আলম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলমসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। র‌্যালিতে হাজার হাজার পাহাড়ী-বাঙালী নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। বর্ণাঢ্য এ র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে খাগড়াছড়ি টাউন হল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা পরিষদ সদস্য খগেশ^র ত্রিপুরার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা। সমাবেশে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, চুক্তির বেশিরভাগ ধারাই বাস্তবায়িত হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক। তিনি আরো বলেন, আমরা পার্বত্য চুক্তির অনেক ধারা বাস্তবায়ন করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ গঠন, উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স গঠন, ভূমি কমিশন গঠন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরীক্ষা করার লক্ষ্যে চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন, ভূমি কমিশন আইনের ধারাগুলো সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ, পার্বত্য জেলার স্থানীয় সরকার পরিষদের পরিবর্তন করে পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠনসহ পার্বত্য চুক্তির বেশির ভাগ ধারা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়া ভারত প্রত্যাগত ১২ হাজার ১৭০ পরিবারকে ২০ দফা প্যাকেজ সুযোগ-সুবিধাসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক নয়- জন সংহতি সমিতির এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন এ কথা সঠিক নয়। বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচী পালন করে। পার্বত্য জেলা পরিষদ চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয় কর্মসূচীসমূহে। অপরদিকে পাহাড়ে সংঘাত বন্ধ, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কারপন্থী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) নেতৃবৃন্দ। তারা খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২২ বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে। সোমবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের লারমা স্কয়ার থেকে বিশাল একটি র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মারমা উন্নয়ন সংসদ হল রুমে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি বিমল কান্তি চাকমা। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক বিভু রঞ্জন চাকমা, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুভাষ কান্তি চাকমা, যুব বিষয়ক সম্পাদক প্রণব চাকমা, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক উজ্জ্বল কিরণ ত্রিপুরা, কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা, মহিলা সমিতির সভানেত্রী কাকলী খীসা, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র ফেডারেশনের নেত্রী পদ্মা রানী প্রমুখ। এতে সাধারণ পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন অংশ নেয়। রাঙ্গামাটির কর্মসূচী রাঙ্গামাটিতে বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সোমবার ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২২তম বর্ষপূর্তি পালন করা হয়েছে। শান্তিচুক্তির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে জনসংহতি সমিতি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা আওয়ামী লীগ পৃথক পৃথকভাবে তিনটি স্থানে চুক্তির বর্ষপূর্তি পালনের অনুষ্ঠান করেছে। জেএসএস এই উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জিমনেসিয়াম মাঠে এক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে জেএসএস সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার প্রধান অতিথির ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশদ্রোহী, নই আমরা সরকার ও সেনাবাহিনী বিরোধী নই। আমরা আমাদের অধিকার আমাদের অধিকারের কথা বলছি। আমরা শান্তিচুক্তির যাথাযথ বাস্তবায়ন চাই। আমরা এই মাসের মধ্যে ভূমি, পর্যটন ও বন বিভাগ জেলা পরিষদের নিকট হস্তাস্তর চাই। চুক্তি বাস্তবায়ন দীর্ঘায়িত হওয়ায় মানুষের মনে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। একটি মহল জেএসএসকে সন্ত্রাসী হিসাবে রং দিতে চাচ্ছে। আমরা আমাদের অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাই। প্রধানমন্ত্রী এই চুক্তি করেছেন। তিনি এই চুক্তি বাস্তবায়ন করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। চুক্তি অনুসারে জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের প্রশাসনিক ক্ষমতা চাই। উদার মানসিকতা নিয়ে এখানের সরকারী কর্মকর্তাদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। সদস্য শ্যাম রতন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আশোর শাহা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ মাইদুল, জেএসএস নেতা অরুন ত্রিপুরা, বিশিষ্ট লেখক বিজয় কেতন ও পিসিপি সেতা জুয়েল চাকমা প্রমুখ। রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এই পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেছে এ সরকারই তার অধিকাংশই বাস্তবায়ন করেছে। সরকার ভূমি কমিশন আইন পাস করেছে। শান্তিচুক্তি বাকি অংশগুলোও দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। তবে এর জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন বক্তারা। ওইদিন বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে শান্তিচুক্তির ওপর একটি আলোচনা সভা সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর, সহ-সভাপতি হাজী কামাল, চিংকিউ রোয়াজা ও রুহুল আমিন প্রমুখ। এছাড়া বিকেলে রাঙ্গামাটি চিংহ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ ও রাঙ্গামাটি রিজিয়নের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বান্দরবান নিজস্ব সংবাদদাতা বান্দরবান থেকে জানান, বান্দরবানে জেলা প্রশাসন,পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সেনাবাহিনীর উদ্যোগে শান্তিচুক্তির ২২তম বর্ষপূতি উদযাপন করা হয়েছে। শান্তিচুক্তির ২২তম বর্ষপূতি উপলক্ষে সোমবার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজার মাঠে এসে সমবেত হয় । এ সময় শোভাযাত্রায় ১১ টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায় ও বাঙালীরা মিলে বর্ণিল পোশাক ও ব্যানার এবং ফেস্টুন হাতে নিয়ে এতে অংশ নেয়। পরে শান্তি চুক্তির ২২ তম বর্ষপূতি উপলক্ষে স্থানীয় রাজার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা। এ সময় অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার, বান্দরবান সেনা রিজিয়নের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার মোঃ শাহিদুল এমরান পিএসসি, জোন কমান্ডার লে. কর্নেল আখতার উস সামাদ রাফি পিএসসি, পৌর মেয়র মোহাম্মেদ ইসলাম বেবী উপস্থিত ছিলেন । আলোচনা সভা শেষে শুরু হয় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে দিনব্যাপী বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ। চিকিৎসা শিবিরে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবা প্রদান ও বিনামূল্যে ঔষুধ বিতরণ করেন। এ সময় মেডিসিন, ডেন্টাল, পরিবার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে গরিব ও অসহায়দের মাঝে ১ হাজার পিচ কম্বল ও ছাত্রছাত্রীদের বই-খাতা,স্কুল ব্যাগসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন। বরিশালে আনন্দ র‌্যালি স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ২২ বছরপূর্তি উপলক্ষে সোমবার সকালে জেলার গৌরনদী এবং আগৈলঝাড়া উপজেলায় র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শান্তিচুক্তির প্রণেতা মন্ত্রী পদমর্যাদায় থাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহবায়ক এবং বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগ ও তার সকল সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বেলা ১১টায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে র‌্যালি শেষে দিবসের তাৎপর্য নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, পৌর মেয়র হারিছুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু, ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের ইসলাম সান্টু ভূঁইয়া প্রমুখ। একই সময় আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন-উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মোঃ লিটন, উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত প্রমুখ।
×