ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নাইজিরিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

 নাইজিরিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ নাইজিরিয়ার রাজধানী আবুজায় বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে, গত ২৪ নবেম্বর নোবেল বিজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদ্যাপন করে। অনুষ্ঠানে আলোচনার রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীতকে উপজীব্য করে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দলের সদস্য। ডালিয়া আহমেদের উপস্থাপনায় ছিল বিশিষ্ট বংশীবাদক গাজী আব্দুল হাকিমের একক পরিবেশনা, সঙ্গীত শিল্পী সালমা আকবর, ইয়াসমিন আলী, সফিক তুহিন, কাজী মুয়িত শাহরিয়ার সিরাজ জয়, ম্যানুয়েল সোরেন, আব্রু নকরেক এবং প্রবাসী ডাঃ জয়শ্রী রায়ের সঙ্গীত পরিবেশনা এবং নৃত্য শিল্পী মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ, সঙ্গীতা চৌধুরী, আফরিন সুলতানা নিপু, রাহিনা জামান ও শাম্মী ইয়াসমিন ঝিনুকের পরিবেশনা সবাইকে মুগ্ধ করে। শিল্পীদের সঙ্গে বাদ্যযন্ত্র সঙ্গত করেন তবলায় দেবু চৌধুরী, কি-বোর্ডে কাজী যোবায়ের কায়সার, গিটারে অভিজিত চক্রবর্তী এবং ঢোলে মোঃ নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে নাইজিরিয়ার সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দ, প্রবাসী বাংলাদেশী, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালী, হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং তাদের পরিবার অংশ নেন। অনুষ্ঠানে হাইকমিশমনার মোঃ শামীম আহসান, এনডিসি বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের বিশেষ অবদান তুলে ধরে বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি কাজী নজরুল ইসলামকে কলকাতা থেকে ঢাকা নিয়ে আসেন এবং পরবর্তীতে তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব এবং জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশে রবীন্দ্র চর্চার বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলাম তাদের সাহিত্য কর্মের মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করেছেন। উভয়ের কবিতা ও গান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক উৎসাহ জোগায়। তাদের লেখায় সার্বজনীন এবং ধর্মরিপেক্ষতার চেতনা পরিস্ফুট হয়েছে। সারা বিশ্বে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণু এবং হিংসা-বিদ্বেষ মোকাবেলায় তাদের লেখনীয় চেতনা আজও প্রাসঙ্গিক। আলোচনা সভায় অংশ নেন সংস্কৃতি উপসচিব মোঃ আতাউর রহমান। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের অসাধারণ সাহিত্য কর্মের উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমস্যা সঙ্কুল পৃথিবীতে তারা শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে হাইকমিশনের মিলনায়তনে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
×