অনলাইন ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের মতো ভারতও তীব্র পেঁয়াজ সঙ্কটে পড়েছে। সঙ্কটের কারণে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে তরতর করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। ইতোমধ্যে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১২০ রুপি (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১৪৪ টাকা) ছাড়িয়ে গেছে। মূল্য বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়ারকে লাগাম পড়াতে দেশটি দ্বিতীয় বারের মতো বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবে সরকার।
খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
জানা গেছে, তুরস্ক থেকে ভারত ১১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে। এর আগে চলতি বছরেই মিশর থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। চলতি ডিসেম্বর মাসে মাঝামাঝি মিশর থেকে ওই পেঁয়াজ ভারতে পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ, বন্যায় দেশটির প্রধান কয়েকটি এলাকায় পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যাহত হলে দেশটি পেঁয়াজ সঙ্কটে পড়ে। পেঁয়াজের দাম নাগালে রাখতে সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজ হয়ে উঠে দুর্মূল্য বস্তু। সরকারসহ সবাই দেশটিকে দায়ী করতে থাকে। তবে রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়নি। বিপুল ঘাটতির কারণে সারাদেশেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যায়।
পেঁয়াজ সঙ্কটের আরও অবনতি ঠেকাতে ভারত সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমএমটিসি-র মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত সপ্তাহে বিদেশ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টন পেঁয়াজ কেনায় অনুমোদন দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেইসঙ্গে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে পেঁয়াজের রফতানিও। পেঁয়াজ মজুত রাখার সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
দিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বছর জানুয়ারিতে পেঁয়াজ সরবরাহ করবে তুরস্ক। তার আগে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই মিশর থেকে পেঁয়াঁজ এসে পৌঁছবে মুম্বইয়ের জওহরলাল নেহরু বন্দরে। তার পর মু্ম্বইয়ে ৫২-৫৫ টাকা কেজি দলে এবং দিল্লিতে ৬০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে। তবে অন্যান্য রাজ্যে পেঁয়াজের দাম কতটা কমবে, তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: