ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিপিএল থেকে টি২০ বিশ্বকাপের ক্রিকেটারের খোঁজে বিসিবি

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ২ ডিসেম্বর ২০১৯

 বিপিএল থেকে টি২০ বিশ্বকাপের ক্রিকেটারের খোঁজে বিসিবি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টি২০ বিশ্বকাপ শুরু হতে আর দশ মাস বাকি। আগামী বছর অক্টোবরে শুরু হবে বিশ্বকাপ। ১৮ অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের বল মাঠে গড়াবে। এই বিশ্বকাপের জন্য দল গোছানোর কাজ ভালভাবেই করছে সব দল। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। তবে ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) থেকেও টি২০ বিশ্বকাপের ক্রিকেটারের খোঁজে থাকবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবি’র নির্বাচক কমিটির সদস্য হাবিবুল বাশার সুমনই যেমন বলেছেন, ‘এই বিপিএলের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। কারণ আগামী বছর আমাদের টি২০ বিশ্বকাপ আছে। টি২০’র জন্য কোন স্পেশালাইজড ক্রিকেটার তৈরি করা যায় কিনা। কোন স্পেশালাইজড ক্রিকেটার পাওয়া যায় কিনা। এই বিপিএলটার দিকে তাকিয়ে আছি। কিছু ইয়ংস্টারদের আমরা ফলো করব। কিছু সিনিয়র প্লেয়ারও দেখতে পারি। টি২০ টিমে এতো স্পেশালিস্ট নেই যাদের স্ট্রাইকরেট ১৪০-১৫০। ব্যক্তিগতভাবে আমি চেষ্টা করছি কোন টি২০ স্পেশালিস্ট প্লেয়ার খুঁজে পাওয়া যায় কিনা। যেটা আমাদের দলের জন্য খুব দরকার। ৫-৬-৭ এই জায়গায় কিছু ব্যাটসম্যান দরকার। যারা বড় স্ট্রাইকরেটে রান করতে পারে। প্রতিটি বিপিএল তো আমাদের কিছু না কিছু ক্রিকেটার দেয়। আশা করছি বিপিএলে কাউকে খুঁজে পাব পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য।’ ইনজুরিতে না পড়লে কিংবা কোন অসুবিধা দেখা না দিলে তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতরা তো টি২০ বিশ্বকাপের দলে থাকবেনই। এর বাইরে চূড়ান্ত দলে আরও ৪ জন ক্রিকেটার লাগবে। সেই চারজন বর্তমান টি২০ দলে থাকা মোহাম্মদ মিঠুন, শফিউল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন, আবু হায়দার রনি, তাইজুল ইসলাম অথবা মেহেদী হাসান, ইয়াসিন আরাফাতদের থেকেও হতে পারেন। আবার নতুন ক্রিকেটারদেরও দেখা যেতে পারে। পুরনোরাই নিজেদের স্থান বজায় রাখতে পারবেন। নাকি নতুনরা পুরনোদের জায়গা দখল করে নেবেন তা সময়ই বলবে। তবে নৈপুণ্যে তাক লাগানো নতুন কারও দিকে বিশেষ নজরই থাকবে। পুরনোরা কি করেন সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে। পুরনোদের নৈপুণ্য যদি ভাল না হয় তাহলে নতুনদের যে সুযোগ দেয়া হবে। সাকিব আল হাসান তো এক বছরের জন্য নিষিদ্ধই হয়ে আছেন। বিপিএলে নজর থাকলেও আসলে আগামী বছরজুড়ে যে বাংলাদেশ দল আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচগুলো খেলবে, সেই ম্যাচগুলো থেকেই দল গঠন করার আসল কাজ হবে। বিপিএল ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ। কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচ হচ্ছে অনেক কঠিন। বিপিএলেও বিদেশী ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধেই খেলতে হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটি পুরো দলের ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে খেলতে হয়। তাই বিপিএল থেকে নতুন কারও সুযোগ মিললেও তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরীক্ষা দিয়েই বিশ্বকাপের দলে টিকে থাকতে হবে। এ বছর বাংলাদেশের আর কোন আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ নেই। তবে আগামী বছর বাংলাদেশ দলের প্রচুর পরিমাণে টি২০ ক্রিকেট খেলা হবে। প্রতিটি দলই টি২০ বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে টি২০ ম্যাচ খেলবে। বাংলাদেশও খেলবে। টি২০ বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ কম করে হলেও ১৬টি আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ খেলবে। আগামী বছর শুরুতেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে বাংলাদেশ। তিন টি২০ ম্যাচের সিরিজ খেলবে। মার্চে জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে হোমে পাঁচ টি২০ ম্যাচের সিরিজ আছে। মে-জুনে আয়ারল্যান্ডে গিয়ে তিন টি২০ ম্যাচের সিরিজ খেলবে। সেপ্টেম্বরে আছে এশিয়া কাপ টি২০। রাউন্ড রবিন লীগ হলে কম করে ৫টি ম্যাচ খেলতে পারবে বাংলাদেশ। গ্রুপপর্বের খেলা হলে কম করে দুটি ম্যাচ খেলবে। এরপর সেমিফাইনাল-ফাইনাল গেলে আরও ২টি ম্যাচ বাড়বে। রাউন্ড রবিন লীগ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। গত বছরও তাই হয়েছে। এশিয়া কাপের পরই টি২০ বিশ্বকাপে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ১৮ অক্টোবর বিশ্বকাপ শুরু হলেও বাংলাদেশ পরেরদিন প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপের মিশন শুরু করবে। এই মিশনে নামার আগে বিপিএল থেকেই টি২০ বিশ্বকাপের ক্রিকেটার খোঁজার কাজ শুরু করে দেবে বিসিবি।
×