ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশজুড়ে সরকারী স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু

প্রকাশিত: ১০:৩৮, ২ ডিসেম্বর ২০১৯

  দেশজুড়ে সরকারী  স্কুলে ভর্তির  আবেদন  শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে রাজধানীর ৩৯টিসহ দেশের সকল সরকারী হাই স্কুলে (সংযুক্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিকসহ)। রবিবার রাতে অনলাইনে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম চলবে ১৪ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। প্রথমবারের মতো এবার প্রশ্নপত্র পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসছে। সৃজনশীল বা রচনামূলক প্রশ্নের পরিবর্তে অল্প কথায় বা এক কথায় উত্তর দেয়ার মতো প্রশ্ন রাখা হচ্ছে। রাজধানীর ৩৯টি হাইস্কুলে এবং তিনটি স্কুলের (তিনটি) ফিডার শাখার বিভিন্ন শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির সুবিধার্থে ঢাকার স্কুলগুলোকে এবারও তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। টেলিটকের নির্ধারিত ওযয়েবসাইটের (www. gsa.teletalk. com.bd) মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্য মাউশি (www.dshe.gov.bd) এবং টেলিটকের ওপরে উল্লিখিত ভর্তির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। ঢাকার বাইরে আরও প্রায় সাড়ে ৩শ’ সরকারী হাইস্কুলেও ভর্তির আবেদন করা যাবে। ঢাকার বাইরের স্কুলগুলোতে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী আবেদন নেয়া হলেও পরীক্ষা স্থানীয়ভাবে নির্ধারিত তারিখে নেয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে জেলায় ডিসি এবং উপজেলায় ইউএনও’র নেতৃত্বে প্রস্তাবিত কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি অধিদফতরের সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার সরকারী বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাই স্কুল, তেজগাঁও সরকারী বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হচ্ছে না। স্কুলগুলোতে পর্যাপ্ত অবকাঠামো নেই-এমন অজুহাত দেখিয়ে প্রধান শিক্ষকরা প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে ওই এলাকার অভিভাবকরা সন্তানদের ভর্তি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তেজগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা বলছেন, তার বিদ্যালয়ে যেখানে প্রথম শ্রেণীর বাচ্চাদের ক্লাস নেয়া হতো; কিন্তু সেই পুরানো ভবন ভেঙ্গে সেখানে ১০তলা ভিতের নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সেখানকার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তিচ্ছু শিশু না যাওয়ার বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি থেকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যে কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির মৌখিক নির্দেশনা নিয়ে তারা ২০১৭ সাল থেকে প্রথম শ্রেণীর ভর্তির লটারি নিচ্ছে না। পরের বছর থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষাও নেয়া হচ্ছে না। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। সরকারী হাইস্কুলের ভর্তির ওয়েবসাইট থেকে তাদের স্কুলসহ ওই তিনটি স্কুল বাদ দেয়া হয়েছে বলেও জানান রেবেকা। তবে অধিদফতর ভর্তি বন্ধের পক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান। এতে এলাকার মানুষের সঙ্কট বাড়বে বলে বলেছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি কথা বললেন বলেও জানান। পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার বিষয়ে ছাত্রছাত্রী মূল্যায়নে অধিকরতর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রশ্নপদ্ধতিতে এবার পরিবর্তন আনার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যাতে উত্তর সঠিক হলে শতভাগ নম্বর দেয়া সম্ভব হয় এবং পরীক্ষকভেদে কমবেশি দেয়ার সুযোগ না থাকে। ঢাকা মহানগরীর সরকারী স্কুলগুলোতে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। ১৮ ডিসেম্বর এ গ্রুপের স্কুলগুলোর মাধ্যমে শুরু হবে ভর্তি পরীক্ষা। ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীর সরকারী স্কুলগুলোতে প্রথম শ্রেণীর ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ ডিসেম্বর এ গ্রুপের ১৪টি স্কুলের, ১৯ ডিসেম্বর বি গ্রুপের ১৪টি স্কুলে এবং ২০ ডিসেম্বর সি গ্রুপের ১৩টি স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ ডিসেম্বর তিন গ্রুপের স্কুলগুলোতে প্রথম শ্রেণীর ভর্তি লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
×