ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শুধুমাত্র একজন বঙ্গবন্ধু না থাকায় পৃথিবীর অনেক দেশ এখনো স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে না : মোস্তাফা জব্বার

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১ ডিসেম্বর ২০১৯

শুধুমাত্র একজন বঙ্গবন্ধু না থাকায় পৃথিবীর অনেক দেশ এখনো স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে না : মোস্তাফা জব্বার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুধুমাত্র একজন বঙ্গবন্ধু না থাকায় পৃথিবীর অনেক দেশ স্বাধীকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এখনো স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। একইসাথে উন্নয়নের ধারা চলমান থাকলে বাংলাদেশ আগামী ১০ বছরে পাকিস্তানের চেয়ে ১০০ গুণ বেশী এগিয়ে যাবে বলে জানান তিনি। রবিবার রাজধানীর সচিবালয় লিংক রোডে ন্যাশনাল ফ্রিডম ফাইটারস ফাউন্ডেশন কতৃক আয়োজিত শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু ২০২০ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস এমপি,বাংলাদেশ কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট কোম্পানি এর চেয়ারম্যান ড.শাহজাহান মাহমুদ ন্যাশনাল ফ্রিডম ফাইটারস ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. এসএম জাহাঙ্গীর আলম, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা মিত্রবাহিনী পরিবারের সদস্য দেবব্রত গোড়া প্রমূখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু ২০২০ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সমন্বয়ে র‌্যালি উদ্বোধন করেন। বিজয় র‌্যালিটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে শাহবাগে শিখা চিরন্তনে এসে শেষ হয়। মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ছিলো বাঙালির ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ লড়াইয়ের ফসল। এ ফসল একদিনে উঠে আসেনি। তিনি বলেন,বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ ছিলো বাংলা ভাষাভিত্তিক জনগোষ্ঠী, বাঙালি সংস্কৃতি কেন্দ্রিক উন্নত জীবনধারী একটি দেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদীর্ঘ লড়াইয়ের ফসল। স্বাধীকার প্রতিষ্ঠার জন্য এখনো পৃথিবীর বহুদেশে যুদ্ধ হচ্ছে। কিন্তু তারা সফল হতে পারছে না। কারণ তাদের একজন বঙ্গবন্ধু নাই। বঙ্গবন্ধু তার সুদীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্যে সমগ্র দেশের মানুূষকে একত্রিত করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মূল শক্তি ছিলো এ দেশের মানুষ। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ এই ২১ বছর বাংলাদেশকে পশ্চাৎপদতার দিকে ধাবিত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন একজন মানুষ। আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে টেলিযোগাযোগ সম্প্রসারণে ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেনবুনিয়ায় তিনি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সদস্যপদ অর্জন করে। এখন পর্যন্ত যা দেখতে পাচ্ছেন তার সবকিছুই তার উদ্যোগের ফলাফল। যা অব্যহত রেখেছে তারই কণ্যা শেখ হাসিনা। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম কোন দেশ যারা দেশ লেখার আগে ডিজিটাল লেখাটি যুক্ত করতে পেরেছে। এর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ইন্ডিয়া চালুর উদ্যোগ নেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এতটাই এগিয়েছে যে, বিশ্ব যেখানে ৫ জি নিয়ে চিন্তা করছে সেখানে বাংলাদেশ ৫ জি চালুর প্রস্তুতিও নিয়ে নিয়েছে ও সবার আগেই তা চালু করবে। বাংলাদেশ বিশ্বে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি নয় বর্তমান বাংলাদেশ এক উন্নত বাংলাদেশ। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলঅম নিজের জন্য নয় দেশের মানুষ ও সন্তানদেও উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য। যার ফল আজ পাচ্ছে নতুন প্রজন্ম। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী গত দশ বছরে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের তুলনা মূলক অর্থনৈতিক সূচক তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময়। গত দশ বছরে দেশে মাথা পিছু আয় ৫৫৬ ডলার থেকে ১৯০৯ ডলারে উন্নীত হয়েছে। আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ কোথায় যাবে তা কল্পনাও করতে পারি না। তিনি বলেন,গড় আয়ু, মাতৃ মৃত্যুহার, শিশু মৃত্যুহার সহ অগ্রগতির প্রতিটি সূচকে গত ১১ বছরের অগ্রগতিতে বাংলাদেশ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সাল স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। এই দুটি বছর জাতির উৎসবের বছর উদযাপনের বছর। এই সময়ের জন্য তিনি যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উপযোগী হিসেবে নিজেদের তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
×