ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ম্যানসিটিকে রুখে দিল নিউক্যাসল

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ১ ডিসেম্বর ২০১৯

 ম্যানসিটিকে রুখে দিল নিউক্যাসল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ম্যানচেস্টার সিটিকে এবার রুখে দিল নিউক্যাসল ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে শনিবার নিজেদের মাঠে নিউক্যাসল ইউনাইটেড ২-২ ব্যবধানে ড্র করেছে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে। তবে প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যানসিটিই এগিয়ে যায় প্রথম। ২২ মিনিটে রাহিম স্টার্লিং গোল করে এগিয়ে দেয় সফরকারীদের। কিন্তু ২৫ মিনিটে উইলেমসের গোলে সমতায় ফিরে স্বাগতিকরা। এর ফলে সমতায় থেকে শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ। কিন্তু ম্যাচের শেষ ৮ মিনিটে আবারও দুটি গোল করে দুই দল। ৮২ মিনিটে সিটিজেনদের লিড এনে দেন ডি ব্রুইন। আর ৮৮ মিনিটে গোল করে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে আবারও সমতায় ফেরান শেলভি। এর ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয় দুইদলকে। চলতি মৌসুমে সময়টা মোটেও ভাল যাচ্ছে না ম্যানসিটির কোচ পেপ গার্ডিওলার। ১৪ ম্যাচ থেকে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে লীগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে তার দল। যেখানে ১৩ ম্যাচ থেকে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে লিভারপুল। অর্থাৎ সিটিজেনদের সঙ্গে এখনই পয়েন্ট ব্যবধান দাঁড়াল ৮। তবে চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ সাল পর্যন্ত ম্যানচেস্টার সিটিতে থাকার কথা পেপ গার্ডিওলার। তবে বর্তমান চুক্তি নবায়ন করে আরও কিছুদিন সিটিজেনদের সঙ্গেই থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন স্পেনের এই অভিজ্ঞ কোচ। ইতোমধ্যেই কোচ হিসেবে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি সময় কোন ক্লাবে কাটানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন ৪৮ বছর বয়সী গার্ডিওলা। বার্সিলোনায় চার বছর ও বেয়ার্ন মিউনিখের কোচ হিসেবে ছিলেন তিন বছর। চুক্তি অনুযায়ী ইতিহাদ স্টেডিয়ামে তার মেয়াদ ছয় বছরের হবার কথা। তবে আরও দীর্ঘ সময় এই ক্লাবে থাকার ব্যাপারে আলোচনা করতে রাজি আছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে গার্ডিওলা বলেন, ‘অবশ্যই আমি দীর্ঘ সময় এখানে থাকতে চাই। এই ক্লাবে কাজ করাটা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যের। এটা অবশ্যই ফলাফলের ওপর নির্ভর করে। একটি ক্লাবে যখন পাঁচ বছর কেটে যায় তখন সেখানে ফলাফলটা মুখ্য হয়ে ওঠে।’ দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির পেছনে পরিবারও একটি ভূমিকা রেখে থাকে। কিন্তু গার্ডিওলা স্ত্রী ক্রিস্টিনা সেরা বার্সিলোনায় ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেক্ষেত্রে চুক্তি নবায়নের বিষয়টি সমস্যা সৃষ্টি করবে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে গার্ডিওলা বলেন, বিষয়টি কিছুটা হলেও বিভ্রান্তিকর। কিন্তু ম্যানচেস্টার এখন আমার কাছে দ্বিতীয় বাড়ির মতো। এখানকার খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। অনুশীলনেও তারা আমাকে বেশ সহযোগিতা করে। আমরা একে অপরকে বেশ ভালভাবে বুঝতে পারি। যে কোন দেশ, যে কোন পরিস্থিতি, যে কোন ক্লাবই ভিন্ন। ইতোমধ্যেই বিশ্বের তিনটি বড় লীগে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। সবমিলিয়ে এখানে আমি চমৎকার সময় কাটাচ্ছি।
×