ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এসএ গেমসের লোগো ও মাসকট নিয়ে কৌতূহল!

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ১ ডিসেম্বর ২০১৯

 এসএ গেমসের লোগো ও মাসকট নিয়ে কৌতূহল!

স্পোর্টস রিপোর্টার, নেপাল থেকে ॥ আজ রবিবার থেকে নেপালে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর সাউথ এশিয়ান গেমসের (এসএ গেমস) ত্রয়োদশ আসর (যদিও ভলিবল ডিসিপ্লিন শুরু হয়ে গিয়েছিল গত বুধবার থেকেই)। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো নেপালে আয়োজিত হচ্ছে ‘দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক গেমস’ খ্যাত আসরটি। এর আগে ১৯৮৪ সালে প্রথম আসর এবং ১৯৯৯ সালে অষ্টম আসরটি হিমালয়ের দেশে হয়েছিল। অনেক আগেই অবমুক্ত করা হয়েছিল গেমসের লোগো এবং মাসকট। ক্রীড়ামোদীদের অনেকেরই আগ্রহ আছে এই আসরে লোগো এবং মাসকটের তাৎপর্য সম্পর্কে জানার। নেপালে আসার পর এখানকার স্থানীয় অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছি। মাসকট সম্পর্কে দেখলাম অনেকেই জানে। তবে লোগো সম্পর্কে খুব বেশি জানা লোক পাওয়া গেল না। যাহোক, বাংলাভাষীদের জন্য এখানে ত্রয়োদশ লোগো ও মাসকটের নির্ধারণ প্রক্রিয়ার বিষয়টি অবতারণা করছি। প্রথমে আসা যাক লোগো প্রসঙ্গে। এবারের গেমসের লোগো হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে ‘উড়ন্ত পায়রা’কে। প্রশ্ন আসতে পারে এত পশু বা প্রাণী থাকতে উড়ন্ত পায়রা কেন? এর জবাব দিয়েছেন এই লোগোর নকশাকার চারুশিল্পী ভোলানাথ পাউদেয়াল। তিনি বলেছেন, ‘এসএ গেমসের লোগোর জন্য মোট ৬টি নকশা জমা পড়েছিল। তার মধ্যে আমারটা চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হয়। কাজটি করে নেপাল অলিম্পিক কমিটি। উড়ন্ত পায়রা হলো শান্তির প্রতীক। আর পায়রার পিঠের দিকে যে উঁচু অংশ রয়েছে সেটির মাধ্যমে নেপালের হিমালয় পর্বতমালাকে বোঝানো হয়েছে। পায়রার সাতটি পালক দিয়ে বোঝানো হয়েছে সার্কভুক্ত সাতটি দেশকে।’ উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে আফগানিস্তান সার্কভুক্ত হওয়ার পর এসএ গেমসে অংশ নিচ্ছিল। কিন্তু এবার তারা অংশ নিচ্ছে না। তারা দক্ষিণ এশিয়া ছেড়ে মধ্য এশিয়ায় যুক্ত হয়েছে। সে কারণে সাতটি পালক রাখা হয়েছে। এই আসরের মাসকট হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ব্ল্যাকবাক’ হরিণকে। হরিণ কেন? এর জবাব দিয়েছেন নেপাল অলিম্পিক কমিটির সভাপতি জীবন রাম শ্রেষ্ঠা, ‘আমাদের দেশের পশ্চিমাঞ্চলে দেখা যায় ব্ল্যাকবাক হরিণ। কিন্তু বর্তমানে এটা বিলুপ্তপ্রায়। এটিকে মাসকট নির্ধারণের মাধ্যমে আমরা এই বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটিকে রক্ষার বার্তা দিতে চেয়েছি।’ বিগত এসএ গেমসের মাসকটের নাম ॥ ১৯৮৯ ইসলামাবাদ গেমসের মাসকট ছিল ‘নাচুনে ঘোড়া’। ১৯৯১ কলম্বো আসরে ছিল হাতি, ১৯৯৩ ঢাকা আসরে ছিল ‘অদম্য : দ্য রয়েল বেঙ্গল টাইগার’। ১৯৯৯ কাঠমান্ডু আসরে ছিল ‘হিম কাঞ্চা : দ্য স্নো লেপার্ড’, ২০০৪ ইসলামাবাদ আসরে ছিল
×