ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেষ মুহূর্তেও প্রস্তুত হয়নি অনেক ভেন্যু

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ১ ডিসেম্বর ২০১৯

 শেষ মুহূর্তেও প্রস্তুত হয়নি অনেক ভেন্যু

স্পোর্টস রিপোর্টার, কাঠমান্ডু, নেপাল থেকে ॥ ৩ হাজারের বেশি এ্যাথলেট, ৫ হাজার ডেলিগেট, ২২ হাজার নিরাপত্তাকর্মী ... ত্রয়োদশ এসএ গেমসে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা এটি। কোন সন্দেহ নেই, ১০ দিনের বিশাল আয়োজন এটি। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে গেমসে কোন ভেন্যুই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শতভাগ প্রস্তুত হয়নি। এতে করে আয়োজকদের অদক্ষতার চিত্রটিই প্রকাশ পেয়েছে। ঢাকা থেকে দেড় ঘণ্টার বিমানযাত্রায় কাঠমান্ডুতে গিয়েই রাস্তায় রাস্তায় দেখা গেছে এসএ গেমসের নানা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড। বোঝা গেল প্রচারের দিক দিয়ে কোন কমতি রাখেনি আয়োজকরা। কিন্তু অবাক ও হতাশ হতে হলো বিভিন্ন ভেন্যুতে গিয়ে। কারণ একটি ভেন্যুও এবং এর আশেপাশের পরিবেশ কোন কিছুই পুরোপুরি প্রস্তত নেই বা অনুকূলে নেই। এর সত্যতা পাওয়া গেল আসাদুজ্জামান কোহিনুরের কথায়। এই আসরে বাংলাদেশ ক্রীড়া দলের শেফ দ্য মিশন বলেন, ‘নেপাল আয়োজনে ব্যর্থ, সেটা বলব না। কারণ তারা খুব কম সময় পেয়েছে। তবে অনেক অগোছালো। যে কারণে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমি এখানে ২৪ তারিখ এসেছি, সে সময় এসে দেখেছি, এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, এই জায়গায় ধূলাবালি দিয়ে ঢাকা ছিল। এরা ৫-৭ দিনের মধ্যে স্টেডিয়ামের ভেতরের রাস্তাগুলো করেছে। অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করেছে। সেক্ষেত্রে বলা যায় তারা অনেক পরিশ্রম করেছে এবং একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। তাদের আন্তরিকতার কমতি দেখিনি। নেপালের আতিথিয়েতা যতটুকু পেয়েছি এ পর্যন্ত ভালই বলা চলে। তাদের সবকিছুতে ইতিবাচক ভূমিকা দেখে খুব ভাল লেগেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, তাদের একটা সাংগঠনিক ঘাটতি ছিল পুরো আয়োজনটির গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো দু-তিনজন লোকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে। তারপরও আমি মনে করি তারা মোটামুটি একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। তারা ভেন্যুগুলোকেও ভালভাবে প্রস্তুত করেছে। পোখারার ভেন্যুগুলো খুব আধুনিক হয়েছে। বিশেষ করে তাদের ইনডোরটা খুব ভাল করেছে। আশা করছি আগামী ক’দিন উপমহাদেশের মানুষ বিভিন্ন খেলায় মেতে থাকবে। রবিবার যদি শীত খুব বেশি না পড়ে সবাই স্বতস্ফূর্তভাবেই মার্চপাস্টে অংশ নেবে।’ একই প্রসঙ্গ নিয়ে নেপাল ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলের সদস্য সচিব রামেশ কুমার সিলওয়াল বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে এখানে বিন্দুমাত্র সমস্যা হবে না। স্বীকার করছি, এখানে সব ভেন্যুই পুরোপুরি প্রস্তুত করতে পারিনি। এর কারণ ২০১৫ সালে একটি প্রলয়ঙ্কারি ভূমিকম্পে এখানকার সবকিছুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেগুলো এখন পর্যন্ত আমরা মেরামত করতে পারিনি। এর ভেতরে এসএ গেমসের ভেন্যুগুলোও আছে। এগুলোর একটি দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম। এখানে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৪ বালিকা ফুটবল দল খেলতে এসেছিল। ফাইনালের আগেরদিন ভূমিকম্প হয়। স্টেডিয়ামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। তারপরও আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি স্টেডিয়ামটিসহ বাকি ভেন্যুগুলোর সংস্কার করতে।’
×