স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ বিকাশ এজেন্টের ২৬ লাখ টাকা ছিনতাই মামলায় আটক শীর্ষসন্ত্রাসী দীপ ও সাইফুল পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে। দীপ (২৫) শহরের মুনজিতপুর এলাকার ডেকোরেটর ব্যবসায়ী মঈনুল ইসলামের ছেলে। সাইফুল (৩৮) ইসলাম কালিগঞ্জের উজিরপুর গ্রামের আব্দুস সবুর সরদারের ছেলে। এরা দুজনেই জেলা ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতার বডিগার্ড হিসেবে পরিচিত ছিল এবং অনেকেই এদের ছাত্রলীগের কর্মী ও সমর্থক বলে জানতেন। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের বকচরা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, দুটি অত্যাধুনিক চাকু ও একটি নাম্বার প্লেটবিহীন মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানায়, ৩১ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার বিকাশ এজেন্টের শাখা ব্যবস্থাপক প্রদীপ কুমার দে, ফিল্ড কর্মকর্তা তামিম এবং কাস্টমার কেয়ারের কর্মকর্তা মিথুন কুমার সাতক্ষীরা সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে বিকাশের ২৬ লাখ টাকা উত্তোলন করে মোটরসাইকেলে শ্যামনগরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কালিগঞ্জের মৌতলা ইউনিয়নের কাটাখালি এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে ৩ ছিনতাইকারী একটি মোটরসাইকেলে যোগে এসে বিকাশ কর্মকর্তাদের গতিরোধ করে। এ সময় ওই ছিনতাইকারীরা ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে বিকাশ এজেন্টের কর্মকর্তাদের কাছে থাকা ২৬ লাখ টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
এদিকে উক্ত টাকা ছিনতাই মামলায় কয়েকজনকে পুলিশ শুক্রবার আটক করে এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাত ৩টার দিকে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীদের সহযোগীরা তাদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় এনকাউন্টারে দীপ ও সাইফুল নিহত হয়। সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি বিকাশ কোম্পানির ২৬ লাখ টাকা ছিনতাই মামলায় শুক্রবার দীপ ও সাইফুলকে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের নিয়ে টাকা উদ্ধার অভিযানে গেলে তাদের সহযোগীরা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এ ঘটনায় দীপ ও সাইফুল গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
