স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী বছরের দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি সম্পাদন করতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আগামীকাল (সোমবার) ২ ডিসেম্বর সৌদি আরব যাচ্ছে। বুধবার সৌদি সরকার ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের হজ চুক্তিতে বাংলাদেশের হজযাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি, বাংলাদেশী সব হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সম্পন্ন করা, চুক্তির পরে হজ প্যাকেজে কোন প্রকার ব্যয় বৃদ্ধি না করা এবং মদিনাতে সরাসরি ফ্লাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি করার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য অনুসারে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৮০ লাখ। এই হিসেবে বাংলাদেশ ১ লাখ ৪৮ হাজার হজযাত্রীর কোটা চাইবে। এ বছর শতকরা প্রায় ৫০ শতাংশ হজযাত্রীর সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন হয়। আগামী বছর যাতে দেশ থেকে সব হজযাত্রী ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে যেতে পারেন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সৌদি সরকারকে অনুরোধ জানাবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন- ধর্ম সচিব মোঃ আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব এবিএম আমিন উলাহ নূরী, অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, হজ অফিস ঢাকার পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক মার্কেটিং এ্যান্ড সেলস (ভারপ্রাপ্ত) শাহরিয়ার, সিস্টেম এনালিস্ট মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রীর সহকারী ব্যক্তিগত সচিব নাজমুল হক সৈকত ও হাব সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন তসলিম।
এ বিষয়ে হাব সভাপতি শাহাদত হোসাইন তসলিম জানান, গত বছর বাংলাদেশ থেকে স্বল্পসংখ্যক ফ্লাইট সরাসরি মদিনা গেছে। এ বছরে সংখ্যা আরও বৃদ্ধির জন্য আলোচনা করবে প্রতিনিধি দল। রাজকীয় সৌদি সরকার ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। অনেক সময় সৌদি সরকার হজ চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরও খরচ বৃদ্ধি করে। আগেই হজ প্যাকেজ ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত খরচ নিয়ে বেসরকারী হজ এজেন্সি ও হজযাত্রীদের মধ্য ভুল বোঝাবুঝি হয়। ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে সৌদি সরকারকে চুক্তি সম্পাদনে যাতে আর কোন ব্যয় বাড়ানো না হয় সে ব্যাপারে অনুরোধ জানানো হবে।