ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলা পথনাটকের পথিকৃৎ পানু পাল স্মরণে সেমিনার

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ১ ডিসেম্বর ২০১৯

 বাংলা পথনাটকের  পথিকৃৎ পানু পাল স্মরণে সেমিনার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জীবন ও কর্ম নিয়ে সেমিনারের মধ্য দিয়ে জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলা পথনাটকের পথিকৃৎ পূর্ণেন্দু চৌধুরী শেখর পাল ওরফে পানু পালকে স্মরণ করেছে বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ভারতীয় নৃত্যশিল্পী মধুমিতা পাল ও নাট্যকলার অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মান্নান হীরার সভাপতিত্বে এতে আলোচনা করেন নাট্যজন ড. ইনামুল হক, দেবপ্রসাদ দেবনাথ, শঙ্কর সাঁওজাল, অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী, ঝুনা চৌধুরী, বিমল মজুমদার ও অনোয়ার আকাশ। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গিয়াস। মূল প্রবন্ধে পানু পালের নাতনি মধুমিতা পাল বলেন, পানু পাল শুধু বাংলা পথনাটকের পথিকৃত নয়, একই সঙ্গে সারা ভারতের পথনাটকেরও পথ প্রদর্শক। প্রসেনিয়ামের বাধা অতিক্রম করে তিনি নাটককে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে উন্মুক্ত জায়গায়। মার্কসীয় আদর্শকে বুকে নিয়ে তিনি বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষের কথা বলতেন তার নাটকের মধ্য দিয়ে। ইসরাফিল শাহীন বলেন, পথনাটক অত্যন্ত জরুরী শিল্পমাধ্যম। এর শক্তি অপরিসীম। অভিনয়েরও বড় শক্তি হচ্ছে নাটকের এই মাধ্যমটি। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় এই মাধ্যমটি এখন অবহেলিত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাট্যকলার সিলেবাসে এখনও পথনাটকের কোন স্থান নেই। কিন্তু পথনাটকের মাধ্যমেই সমাজের প্রকৃত চিত্র আয়নার মতো আমরা মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারি। সভাপতির বক্তৃতায় মান্নান হীরা বলেন, পথনাটকের জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতির দরকার হয় এটা সত্য। কিন্তু সমাজের যেখানে অনিয়ম, দুর্র্নীতি, অনৈতিকতা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ঘটছে সেখানে আমরা এগুলোকে নিয়ে পথনাটক করছি না কেন সেটা ভাবতে হবে। পথনাটকের জন্য মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দরকার ও মানুষকে ভালবাসার দরকার। আপোসকামিতা যখন আঁকড়ে ধরেছে, ভয়ের সংস্কৃতি পেয়ে বসেছে, এটাকে পথনাটকের মাধ্যমে অতিক্রম করতে হবে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় গণনাট্য সংঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পানু পাল ১৯১৯ সালের ২০ জানুয়ারি বাংলাদেশের গাইবান্ধায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫১ সালে দেশান্তরী হন।
×