ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষতিপূরণের টাকা দাবিতে ভূমি মালিকদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ১ ডিসেম্বর ২০১৯

 ক্ষতিপূরণের টাকা দাবিতে ভূমি মালিকদের  বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নীলফামারী-সৈয়দপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ সম্প্রসারণ কাজের ভূমি অধিগ্রহণ ক্ষতিপূরণের টাকার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে জমির মালিকরা। শনিবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টাব্যাপী নীলফামারীর নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে চড়াইখেলা ইউনিয়নের দারোয়ানী পিলার নামক স্থানে ভূমি মালিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে ওই সড়কে। এ সময় ওই সড়ক দিয়ে নীলফামারী আসছিলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। তিনি গাড়ি থেকে নেমে ভূমি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। অবরোধকারীদের অভিযোগ, চলতি বছর এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবার কথা থাকলেও এখনও অনেকে অধিগ্রহণের টাকা পাননি। সড়ক ও জনপদ বিভাগ নীলফামারীর সূত্র মতে, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২২৫ কোটি ৯৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের ১৯ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত ও মজবুতিকরণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর। যার নির্মাণ কাজ শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। আর অধিগ্রহণকৃত জমির টাকা প্রদানের শেষ সময় রয়েছে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু এখনও শতশত জমির মালিক ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি। অথচ যে জমিগুলো অধিগ্রহণ করা হয়েছে সেখানে নীলফামারী-সৈয়দপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শেষ পর্যায়ে। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক আবুল শেখসহ অনেকে জানান, অনেকদিন ধরে অধিগ্রহণের টাকার জন্য আমরা ধর্না দিচ্ছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। এর আগে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি এলাকাবাসী পিলার এলাকায় একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করলে তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহীনুর আলম সেখানে এসে ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বদলি হয়ে যাওয়ার পর আমাদের কেউ খোঁজ রাখেনি। এরপর গত ৬ অক্টোবর আমরা পুনরায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালনের সময় নবাগত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার নাহিদ হাসান ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত অধিগ্রহণের টাকা প্রদানের আশ্বাস দেয়। কিন্তু নয়মাস পেরিয়ে গেলেও আজও সে টাকা দেয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক এনামুল হক অভিযোগ করে বলেন, একই সড়কে ঢেলাপীর সংলগ্ন ইকু জুটমিল রয়েছে। ওই জুট মিলের রাস্তার ধারে সীমানা প্রাচীরের এক ইঞ্চি জমিও রাস্তায় পড়েনি। অথচ ওই জুট মিলের মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হিসাবে ৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের মতে জেলা প্রশাসন এ পর্যন্ত ৬২ কোটি টাকার এস্টিমেট দিয়েছেন, আমরা ১০২ কোটি টাকা প্রদান করেছি। নতুন করে আর কোন এস্টিমেট পাইনি।
×