ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মরিনহোর মহানুভবতা...

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ৩০ নভেম্বর ২০১৯

 মরিনহোর মহানুভবতা...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কড়া শিক্ষক হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত তারকা কোচ জোশে মরিনহো। তবে পর্তুগীজ লৌহমানবের হৃদয়টা যে অনেক বড় সে প্রমাণ রাখেন প্রায়শই। এমন আরেকটি প্রমাণ রেখেছেন ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারের কোচ। ঘটনাটা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের একটি ম্যাচে। গত মঙ্গলবার রাতে নিজেদের মাঠে গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের বিরুদ্ধে ৫০ মিনিট পর্যন্ত ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল টটেনহ্যাম। এ সময় মাঠের বাইরে থেকে দ্রুত সার্জি অরিয়েরকে বলের যোগান দেয় বল বয় ক্যালাম হাইন্স। বল পেয়ে দ্রুতই সতীর্থ লুকাস মউরাকে পাস দেন অরিয়ের। মউরার কাট ব্যাকে বল পান হ্যারি কেন। বল পেয়েই গোল করেন ইংলিশ অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ৪-২ গোলে জিতে নেয় মরিনহোর দল। সেই গোলের পরপরই খেলোয়াড়রা যখন উদযাপনে ব্যস্ত, ডাগআউট থেকে নিজে এগিয়ে গিয়ে হাইন্সের সঙ্গে হাত মেলান মরিনহো। করেছেন উচ্ছ্বসিত প্রশংসা। এতবড় একজন কোচের এমন প্রশংসা পেয়ে আনন্দে ভাসছে হাইন্স। ওই সময় দ্রুত বল জোগান দেয়ায় ক্যালাম হাইন্সের প্রশংসা করেছিলেন টটেনহ্যাম হটস্পার কোচ মরিনহো। দিয়েছিলেন ‘হাই ফাইভ’ও। মরিনহোর সেই হাই ফাইভে নিজের জীবন পাল্টে যাবে বলছে স্পার্সদের ১৫ বছর বয়সী বল বয়। এ বিষয়ে হাইন্স বলেন, এটা ছিল অকল্পনীয়। আমি শুধু আমার দায়িত্বটা পালন করেছি। আমার এখনও বিষয়টা স্বপ্নের মতো লাগছে। আমি গোলও দেখার সুযোগ পাইনি। বল দেয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এরপর নিজের জায়গায় আসতে আসতেই দেখি সবাই উল্লাস করছে। ফিরে দেখি কেন উদযাপন করছেন। এরপর রিপ্লেতে দেখেছি কি হয়েছে। আমার হাসি দেখলেই বোঝা যাবে বিষয়টা কত অবিশ্বাস্য। মরিনহোর এমনটা না করলেও চলতো। উনি আমার কাছে এসেছেন, বিষয়টা দারুণ। আমার দিনটাই সেদিন বদলে গিয়েছে, আমার জীবনও। আমি স্পার্সদের ভালবাসি আর কোনদিনও দিনটাকে ভুলতে পারব না। ম্যাচের পর নানা প্রান্ত থেকে হাইন্সের জন্য শুভেচ্ছা আসছে বলে জানিয়েছেন তার মা ক্যালি হাইন্স। তিনি বলেন, আমরা মাঠে ছিলাম। দেখেছি মরিনহো আমাদের ছেলের সঙ্গে কি করেছেন। আমরা ভেবেছিলাম বিষয়টা হাই ফাইভেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এরপর থেকে আমাদের ফোন বেজেই যাচ্ছে। নানা প্রান্ত থেকে ফোন আসছে।
×