ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

আওয়ামী লীগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তৃণমূলের কথা

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ৩০ নভেম্বর ২০১৯

আওয়ামী লীগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তৃণমূলের কথা

বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন এবং মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়াামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল হতে যাচ্ছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের শেষের দিকে। ২১ এবং ২২ ডিসেম্বর। ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল নৌকা মঞ্চ বানিয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করবেন দলীয়প্রধান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। ভারত, রাশিয়াসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশের নেতৃবৃন্দ উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগদান করবেন ও শুভেচ্ছা জানাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গৌরবময় একটি ইতিহাস রয়েছে। স্বাধীনতা পূর্বকালে এর নাম ছিল রেসকোর্স ময়দান। এখানে হর্স-রেস-জুয়া হতো। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মদ, জুয়া, হাউজি নিষিদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে রেস খেলা ও জুয়া বন্ধ করে দেন। রেসকোর্স নামটি পাল্টে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নাম অনুসারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নাম দেন। আজ এই নামে পরিচিত। আওয়ামী লীগের সঙ্গে এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে যেমন ছিল পল্টন ময়দানের। আজ সেখানে ভাসানী স্টেডিয়ামসহ অনেক কমপ্লেক্স বানানোর ফলে সভা-সমাবেশ করার পরিবেশ, সুযোগ নষ্ট হয়ে যায়। অথচ জাতির পিতা ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে রাজনৈতিক দলসমূহের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে বাঙালীর মুক্তি সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা পেশ করার পর ঢাকায় ফিরে এই পল্টনের জনসভায় বক্তৃতা করেন। পাকিস্তান আমলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান তথা সেদিনের রেসকোর্স ময়দান ছিল আকারে অনেক বড়, বিস্তৃত। এখানে জনসভা করার মতো, জনসমাবেশ ঘটানোর মতো জোর আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কারও ছিল না। বর্তমানেও নেই। স্বাধীনতা আন্দোলন এবং জনসভা অনুষ্ঠানের অনেক স্মৃতি এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে আওয়ামী লীগের। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মিলিটারি জিয়া ঐ সব স্মৃতি মুছে ফেলার হীন উদ্দেশ্যে এর বেশ কিছু জায়গাজুড়ে শিশুপার্ক বানান এজন্য যে, এটি স্পর্শকাতর এবং কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। আওয়ামী লীগ ও রেসকোর্স ময়দান বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মার্চ মাসব্যাপী দুনিয়া কাঁপানো অসহযোগ আন্দোলনের মাঝে এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ লাখ মানুষের উত্তাল জনসমুদ্রে তার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন। ১০৯৫ শব্দের এই ভাষণ আজ বিশ্বের আড়াই হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষণ। ॥ দুই ॥ এর আগে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্যে দায়ের করা তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্ত হয়ে তিনি রেসকোর্স ময়দানে আসেন এবং তাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ তিনি মুক্ত হন এবং ২২ ফেব্রুয়ারি তার সম্মানে আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ জাতির পক্ষে তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করলে উপস্থিত ২০ লাখ জনতার হাত উঁচিয়ে সমর্থন জানায়। ॥ তিন ॥ ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর এই রেসকোর্স ময়দানে পরাজিত পাকিস্তানের ৯৩ হাজার আর্মি অফিসার ও জোয়ান আমাদের বিজয়ী মিত্রবাহিনীর কাছে অস্ত্রসহ হাঁটু গেড়ে স্যারেন্ডার করে এবং সারেন্ডার দলিলে স্বাক্ষর দান করে। ॥ চার ॥ ’৭২-এর ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন ও দিল্লী হয়ে ১০ জানুয়ারি তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং এই রেসকোর্স ময়দানে প্রথম বক্তৃতা করেন। বঙ্গবন্ধু কবিগুরুর ভক্ত ছিলেন। কবির কবিতা আবৃত্তি করে বলেছিলেন, ‘কবিগুরু তুমি এসে দেখে যাও, তোমার বাঙালী আজ মানুষ হয়েছে।’ ॥ পাঁচ ॥ স্বাধীনতার পর জাতির পিতা দেশে মদ-জুয়া-হাউজি নিষিদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে হর্স-রেস-জুয়া বন্ধ করে দেন এবং রেসকোর্সের নামকরণ করেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ॥ ছয় ॥ স্বাধীনতা-উত্তর ১৯৭২ সালের ২০ মার্চ এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় এবং পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে যে মহীয়সী নারী সর্বাত্মক শক্তি ও সহযোগিতা নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সেই মিসেস ইন্দিরা গান্ধীকে (মিসেস ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী) বিরোচিত সংবর্ধনা জানানো হয়েছিল। সেদিন এখানে ১০ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিল এবং নৌকার আদলে ইন্দিরা মঞ্চ বানানো হয়। ইন্দিরা গান্ধীর বাংলাদেশ সফরের আগে ভারতীয় মিত্রবাহিনী তাদের দেশে ফিরে যায়। ॥ সাত ॥ জাতির পিতাকে হত্যা করার পর মিলিটারি জিয়া মার্শাল ল’র চেয়ারে বসে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সকল চিহ্ন মুছে ফেলার যে বিকৃত ধারা শুরু করে তারই অংশ হিসেবে উদ্যানের একাংশে স্পর্শকাতর শিশু উদ্যান বানায় এবং অপরাপর অংশ পরিত্যক্ত করে যা বখাটে এবং মাদকাসক্তদের ভাগাড়ে পরিবর্তন হয়। ॥ আট ॥ আমাদের আজকের গর্বিত প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর দীর্ঘ ছয় বছরের প্রবাস জীবন থেকে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরলে তাকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য তৎকালীন তেজগাঁও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ এবং নিজ বাসভবন ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২নং এর বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত অর্ধকোটির অধিক মানুষ রাস্তার দুই পাশে জড়ো হয়েছিলেন। শেখ হাসিনা একটি ট্রাকে মাচানের ওপর দাঁড়িয়ে বিমানবন্দর থেকে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে ও পরে ৩২ নম্বরে যাবার পথে রাজপথের দুপাশ থেকে মানুষ তাকে হাত নেড়ে স্বাগত জানায়। তখন পুরো সময় অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছিল এবং শেখ হাসিনার স্বজন হারানোর বেদনাশ্রু বৃষ্টি জলের সঙ্গে মিশে গড়াতে গড়াতে রাজধানী বাংলার মাঠ ফসলের জমিনে মিশে গিয়েছিল। ॥ নয় ॥ মিলিটারি জিয়া ও তার সরকারের পতন এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা রুমির মা জাহানারা ইমাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মুক্তিযোদ্ধা (মুজিব বাহিনী) ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল সমন্বয় পরিষদ’। দু’টি সংগঠনকে এক করে সমন্বয় পরিষদ গঠন করে দেন। শেখ হাসিনা প্রধান ভূমিকা পালন করেন। এই পরিষদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গোলাম আযমসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি উত্থাপিত হয়। শেখ হাসিনা ও তার পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, মুজিব বাহিনীর শীর্ষ চার নেতার অন্যতম আব্দুর রাজ্জাক (মরহুম) এবং নগর আওয়ামী লীগ নেতা (মুক্তিযুদ্ধের সময় ২ নং সেক্টরের ক্র্যাক প্লাটুন কমান্ডার) মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সমন্বয়ক পরিষদের ব্যানারে কাজ করতে দেন। ॥ দশ ॥ দিনে দিনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি জোরদার হতে থাকে। ॥ এগারো ॥ এমনি পর্যায়ে ১৯৯৩ সালের ২৬ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা হয় গোলাম আযমসহ কতিপয় যুদ্ধাপরাধীর প্রতীকী বিচার। সেদিন উদ্যানে একটি গণআদালত বসানো হয় এবং আদালতে গোলাম আযমকে তার পাকিস্তানী আর্মির সহযোগী হিসেবে গণহত্যা, নারী নির্যাতন এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের বিপক্ষে সশস্ত্র রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী গঠন করে সরাসরি বিরোধিতাকারীদের মৃত্যুদন্ড (প্রতীকী) ঘোষণা করে রায় দেয়া হয়। ॥ বারো ॥ গণআদালতে প্রায় ৫ লাখ লোক জড়ো হয়েছিল এবং শেখ হাসিনা তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা, নেপথ্যে থেকে সকল আয়োজন সম্পন্ন করে দেন। আব্দুর রাজ্জাক, আবদুল মান্নান চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুন সব সময় শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে সব আয়োজন করেন। গণআদালতের ২৪ জন বিচারকের মধ্যে ২/৪ জন ছাড়া বাকিরা সব ইন্তেকাল করেছেন। বিচারকদের মধ্যে ছিলেন কবি সুফিয়া কামাল, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, প্রফেসর ড. কবির চৌধুরী, কবি শামসুর রাহমান, প্রফেসর খান সরোয়ার মুরশিদ, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আবদুল জলিল, কবি সৈয়দ শামসুল হক, কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী, সৈয়দ হাসান ইমাম, সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ। ॥ তেরো ॥ ১৯৯৬-এ গণআন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের পতন এবং সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে ২১ বছর পর সরকার গঠন করেন শেখ হাসিনা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপন করেন শিখা চিরন্তন এবং নির্মাণ করেন স্বাধীনতা স্তম্ভ এবং স্বাধীনতা জাদুঘর। ‘শিখা চিরন্তন’ স্থাপন অনুষ্ঠানে দেশের মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে অংশ নেন তিন বিশ্বনেতা -বিরল ব্যক্তিত্ব (প্রয়াত) দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা, ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত এবং তুরস্কের সোলেমান ডেমিরেল। শেখ হাসিনা তাদের নিয়ে শিখা চিরন্তন স্থাপন করেন। অনন্তকাল অর্থাৎ যতদিন স্বাধীনতা থাকবে, যতদিন স্বাধীন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন এই শিখা চিরন্তন জাতির গৌরবের স্মারক হিসেবে প্রজ্বলিত থাকবে। স্বাধীনতা স্তম্ভ আমাদের আত্মাভিমানের উঁচু শির হয়ে আছে, থাকবে অনন্তকাল। আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল যার তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সংগঠন তথা সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে। দলটির একজন ওয়ার্ড (ইউনিয়নের অন্তর্গত) পর্যায়ের নেতাকর্মীও যথেষ্ট ক্ষমতাধর এবং কখনও কখনও ঐ ক্ষমতা দলকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। তারপরও ওরাই দলের মূল চালিকাশক্তি। কারণ ওরাই এলাকার জনগণকে দলের পক্ষে সংগঠিত করে দলের সঙ্গে সেতুবন্ধ রচনা করে। দলের কেন্দ্রীয় বা শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী সমাবেশ। যদিও এতে কেবল কাউন্সিলরদের অংশগ্রহণের অধিকার থাকে। তারপরও যেহেতু এটি বিশাল জনসমাবেশে রূপ নেয় সেহেতু তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী-সমর্থকও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন। এক্ষেত্রে একটি কথা গুরুত্বপূর্ণ এজন্য যে, কাউন্সিলর কার্ড কারা পেয়ে থাকেন এমন প্রশ্ন রয়েছে। ওয়ার্ড কমিটির ওপর ইউনিয়ন কমিটি, তার ওপর থানা কমিটি, তার ওপর জেলা কমিটি কাউন্সিলর কার্ড ইস্যু করে থাকে। এ ইস্যুটাই প্রশ্নবোধক হয়ে আছে; নেতৃত্ব বজায় রাখার জন্য পছন্দমতো কর্মীদের খোঁজা হয়, দ্বিতীয়ত অর্থের লেনদেনের ব্যাপারটাও জনশ্রুতিতে রয়েছে। এবার অবশ্য ভিন্ন চিত্র। নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানে সত্যিকারের সৎ, সাহসী, দেশপ্রেমিক কর্মীদের নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা পরিষ্কার। তার বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে এবারের চিত্র হবে আলাদা, এটি সকলের বিশ্বাস। তারপরও যে প্রশ্নটি এখনও রয়েছে তা হলো রাষ্ট্রদ্রোহী জামায়াত-শিবিরের শ্যেনদৃষ্টি। তাদের হাতে অঢেল টাকা এবং এখনকার সমাজই টাকার গোলাম। কখন যে কাকে গোলাম বানিয়ে ফেলবে তা আগে থেকে বলা যায় না। ওপরে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং নিচে ওয়াার্ড কমিটি; এর মাঝখানের নেতারাই বেশি প্রশ্নবিদ্ধ। সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন স্তরের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির সময় এমন প্রশ্ন আরও বিস্তৃত হয়েছে। তারপরও আমাদের আলোকবর্তিকা হিসেবে রয়েছেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তার ওপর দেশের, এমনকি বহির্বিশ্বের মানুষেরও অগাধ বিশ্বাস। ঢাকা- ২৯ নবেম্বর ২০১৯ লেখক : সিনিয়ার সাংবাদিক ও এমপি সদস্য, মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটি [email protected]
×