ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে সিডনিতে ফের বিক্ষোভ শুরু

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ৩০ নভেম্বর ২০১৯

  জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে সিডনিতে ফের  বিক্ষোভ শুরু

ধুঁয়ায় আচ্ছন্ন সিডনিতে আন্দোলনকারীরা শুক্রবার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে নতুন করে বৈশ্বিক পর্যায়ের বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছেন। মানবাধিকার কর্মী ও স্কুল শিশুরা দাবানলে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রধান দফতরে পিকেটিং করেন। ১৬ বছর বয়স্ক জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গের পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বানের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণের জন্য কয়েক শ’ বিক্ষোভকারী রক্ষণশীল লিবারেল দলের অফিসে সমবেত হয়। তারা অস্ট্রেলিয়ায় এক বিশেষ জরুরী বিষয় বলে বিষয়টিকে বিবেচনায় নেয়। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কয়েক শ’ মারাত্মক দাবানলে বিধ্বস্তের শিকার হয়েছে। সিডনি দাবানলের বিষাক্ত ধুঁয়ায় ছেয়ে গেলে বিক্ষোভকারীরা আবারও রাস্তায় নেমে আসে। তারা বলছে, আপনি আমাদের ভবিষ্যত ধ্বংস করছেন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে এবং ‘আমরা জেগে উঠব’ বলে স্লোগান দেয়। সম্প্রতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ছয়জন প্রাণ হারিয়েছে এবং শত শত ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এ দুর্যোগের কারণ তাপমাত্রার বৃদ্ধি। অনাবৃষ্টি ও অসময়োচিত উষ্ণতা, শুষ্ক ও জড়ো বাতাস এ নজিরবিহীন দাবানলকে উস্কে দিচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তিনি জীবাশ্ম জ্বালানির প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করতে গিয়ে ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, দাবানল ও জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে কোন সম্পৃক্ততা নেই। স্কুলে ধর্মঘটী নেতা শিয়ান ব্রোডারিক বলেছেন, জলবায়ু সঙ্কটে দাবানলের ব্যাপকতা বেড়ে গেছে। লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের মতো সম্প্রদায়ের লোকেরা ধ্বংসের সম্মুখীন হচ্ছে। অথচ, গ্রীষ্মকাল এখনও শুরু হয়নি। ২ কোটি ৫০ লাখ অধ্যুষিত অস্ট্রেলিয়ায় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দূষণ দেশগুলোর তুলনায় কার্বন নির্গত হয় কম। কিন্তু দেশটি বিশ্বের নেতৃস্থানীয় কয়লা রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। মরিসন এ মাসের প্রথম দিকে বলেন, যে ভাবেই বলা হোক অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের কার্বন নির্গমনের জন্য ১ দশমিক ৩ শতাংশ দায়ী। তারপরও বলতে হয় যে, অস্ট্রেলিয়ায় জনগণের ব্যক্তিগত সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ড বিশেষ দাবানলের জন্য সরাসরি দায়ী। -এএফপির
×