ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান অব্যাহত

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ২৯ নভেম্বর ২০১৯

শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান অব্যাহত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগের দিনের ধারাবাহিকতায় লেনদেন শুরু হয়েছিল সূচকের বড় উত্থান দিয়ে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পতনের ইঙ্গিত। শেষ মুহূর্তে আবার উত্থান। এভাবেই সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। মূলত শেষ ঘণ্টায় লেনদেনে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় এদিন সূচকের উর্ধমুখিতার দেখা মিলেছে। এর মাধ্যমে টানা চার কার্যদিবস উর্ধমুখী থাকল শেয়ারবাজার। সব মূল্য সূচক বাড়লেও এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) একশ’ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন কমেছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ চারশ’ কোটি টাকার ওপরে রয়েছে। আর বাজারে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে তার থেকে বেশি। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, শুরুতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে। এতে ৫ মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর অনেকটাই পিরামিড আকারে কমতে থাকে সূচক। তবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক উর্ধমুখীই থাকে। কিন্তু লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতনের কারণে দুপুর ১২টার দিকে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে ডিএসর প্রধান মূল্যসূচক। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে ঋণাত্মক প্রবণতা। ফলে ১২টা ১২ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট কমে যায়। দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত সূচকের ঋণাত্মক প্রবণতা অব্যহত থাকে। এরপরই আসে চমক। শেষ আধা ঘণ্টার লেনদেনে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে। ফলে উর্ধমুখী হয়ে পড়ে মূল্যসূচক। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৬৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সেখানে দিনভর লেনদেনে অংশ নেয়া ১৬২টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩১টির। আর ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৩০ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৬৪ কোটি ২২ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৩৪ কোটি ২ লাখ টাকা। এদিন ডিএসইতে টাকার পরিমাণে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল টিউবসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, কাট্টালী টেক্সটাইল, লাফার্জ-হোলসিম বাংলাদেশ, ডরিন পাওয়ার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং প্রিমিয়ার ব্যাংক। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩৯২ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৫০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৮টির, কমেছে ১০৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির।
×