ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুনরুত্থান

প্রকাশিত: ০৯:১১, ২৯ নভেম্বর ২০১৯

 পুনরুত্থান

সবাই তার মৃত্যু দেখে মগ্ন, দূর দুরাশা ছড়িয়ে আছে অঙ্কে। জেরুজালেম রুদ্ধবাক ভগ্ন, পড়বে কেবা ফারিসিদের পঙ্কে। জুয়ার গুটি পুরোহিতের দৃষ্টি, মন্দিরের ঘাসে ঘুঘুর রক্ত। এতো দিনের লালিত সব কৃষ্টি, গুঁড়িয়ে দেবে নতুন প্রভু ভক্ত? চেঁচিয়ে ওঠে ফতোয়াবাজ ফন্দি, রাজার রাজা সাজার একি ধান্দা? নকল এই রাজাকে করো বন্দি, আমরা সব খোদার সৎ বান্দা। তাঁর ছোঁয়ায় মৃতরা হয় জ্যান্ত, দৃষ্টি পায় কুষ্ঠ রোগী অন্ধ। যে করে হোক করতে হবে ক্ষান্ত, ঈশ^রের সব দরজা বন্ধ। আহার শেষ ঘনিয়ে এলো সন্ধ্যা সুগোল হয়ে বসলো যতো শিষ্য। জুডাস যার হৃদয় ছিলো বন্ধ্যা, আরো ছিলেন ভক্ত কিছু নিঃস্ব। আকাশে চাঁদ কাঁপছে কালো রক্ত, প্রভুকে কে ধরিয়ে দেবে ধন্ধ? গড়িয়ে যায় অপেক্ষার অক্ত, মোরগ ডাকে ফুলিয়ে নাসারন্ধ্র। বাঁধলো তাকে যতোটা ছিলো শক্তি, কাঁটার মালা পরিয়ে দিলো গন্ডে। রমণী যারা করতো তাকে ভক্তি, কাঁদলো তারা অমানবিক দন্ডে। পনটিয়াস পায় না খুঁজে যুক্তি নিরপরাধ লোককে কেন শাস্তি? বারাব্বাসের চাইলো যারা মুক্তি, ফারাসিদের ফেরেব বাজি মাস্তি। শয়তানের প্রলোভনে লুব্ধ- হয়নি তিনি ভোগবিলাসে মত্ত। অবিচারের বিরুদ্ধে সে ক্ষুব্ধ, মানতেন না দেবালয়ের তত্ত্ব। বিচারহীন বেআইনি হত্যা, প্রথম তিনি ঈশ^রের পুত্র। গলগথের ময়দানে মহাত্মা, প্রথম সেই ক্রসফায়ার সূত্র। হাজার যুগ সইছে কারা কষ্ট, কোথায় থাকে লেখা এই অদৃষ্ট? ইতিহাসের কান্না অবিনষ্ট, উঠছে জেগে লক্ষ যিশুখ্রিস্ট।
×