ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৯:৫২, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সঙ্কট

মজুদদারির ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে অস্থিতিশীল ও অরাজকতাপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয় তা অর্থব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়। দেশ আজ একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিছু অসাধু মজুদদারের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশচুম্বী। তা আজ সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার নাগালের বাইরে চলে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিতিশীল ভাব বিরাজ করছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরকারকে সাময়িক সঙ্কটের সম্মুখীন হতে হয়। এ সুযোগে একশ্রণীর মজুদদাররা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে। দেশে যে পেঁয়াজ মজুদ আছে তার বাইরেও তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করছে। পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আসা সত্ত্বেও দাম কমার বদলে দিন দিন এর মূল্য ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। সরকার নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করে এবং টিসিবির মাধ্যমে কমমূল্যে বিক্রয়ের চেষ্টা করলেও সব বিফলে যাচ্ছে এসব কালোবাজারি মজুদদারদের সিন্ডিকেটের কারণে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত কঠোর আইন করে মজুদকৃত পেঁয়াজ ন্যায্যমূল্যে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা। মজুদদারদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ করা। অবশ্য শর্ষের ভেতর ভূত থাকলে সেখানে এসব আইন প্রয়োগ খুবই কঠিন। সরকার এসব মজুদদারকে চিহ্নিত করে তাদের কঠোর আইনের আওতায় এনে জেল, জরিমানাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে পারে। সরকারের পাশাপাশি যদি সাধারণ জনগণ পণ করে যে তারা যতদিন পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল না হয় ততদিন ওই পণ্য কিনবে না তাহলে কিছুটা হলেও মজুদদারিরা বিপাকে পড়বে। কারণ পেঁয়াজ দ্রুত পচনশীল। তাই তারা কিছু কম লাভে হলেও মজুদকৃত পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে বাধ্য হবে। এছাড়া সরকারকে বিপাকে ফেলার জন্যও হয়ত কেউ কেউ এসব কর্মকাণ্ড করছে। পরিশেষে বলি শুধু পেঁয়াজ কেন? যে কোন পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি আমরা সাধারণ জনগণ আন্দোলন করে যেন এসব মজুদদারদের হটাতে পারি তার জন্য সচেষ্ট হই। আসুন আপাতত পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করি। পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করি এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে রাজপথে নামি। মজুদদার অবশ্যই হারতে বাধ্য। সার্কিট হাউস রোড, ঢাকা থেকে
×