ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এশিয়া একাদশের হয়ে কোহলি-ধোনি খেলতে পারেন!

প্রকাশিত: ১১:৫২, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

এশিয়া একাদশের হয়ে কোহলি-ধোনি খেলতে পারেন!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ক্রীড়াঙ্গনেও উৎসবের আমেজ আছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) এ উপলক্ষে বিভিন্ন আয়োজন হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল টি২০) যেমন বঙ্গবন্ধুর নামে হচ্ছে। তেমনই আগামী বছর দেশের মাটিতে এশিয়া একাদশ ও বিশ্ব একাদশের মধ্যকার দুটি ম্যাচ হবে। বঙ্গবন্ধুর নামকরণেই এ দুটি ম্যাচ খেলা হবে। এই ম্যাচে ভারতের বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনি, জাসপ্রিত বুমরাহরাও খেলতে পারেন। এমনটিই জানা গেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) এই দুটি ম্যাচকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেবে। ম্যাচটি আগামী বছর ১৮ ও ২১ মার্চ হতে পারে। তখন না বাংলাদেশের না ভারতের খুব ব্যস্ত সূচী আছে। এরই মধ্যে ভারত ক্রিকেট বোর্ডকে বিষয়টি জানানোও হয়েছে। ভারত ক্রিকেট বোর্ডও ইতিবাচক। এখন ক্রিকেটারদের খেলানো গেলেই হলো। শুধু কোহলি, ধোনি, বুমরাহই নন, রোহিত শর্মা, হার্দিক পা-িয়া, ভুবনেশ্বর কুমার ও রবীন্দ্র জাদেজাও থাকতে পারেন। এই দুটি ম্যাচ দেখতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীকে আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনিও থাকবেন বলে নিজেই জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘তোমাদের শতবার্ষিকী নিয়ে অনেক বড় উৎসব হচ্ছে। আমি জানি। দুটো ম্যাচও হবে, বিশ্ব একাদশ ও এশিয়া একাদশের মধ্যে। আমি যাব। আমি অবশ্যই যাব।’ ভারত ক্রিকেট বোর্ডকে যে এরই মধ্যে দেশের টপ ক্রিকেটারদের ম্যাচটি যেন খেলানো হয়, সেই অনুরোধ করা হয়েছে; তা বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনই জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘হ্যাঁ, এশিয়া একাদশ এবং বিশ্ব একাদশের মধ্যে দুটি আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ আয়োজনের কথা রয়েছে বাংলাদেশের। দুই ম্যাচের জন্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনুমতি পেতে আমরা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আলোচনা করছি। এশিয়ার অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও আমাদের কথা চলছে।’ ভারতের ক্রিকেটাররা নিজের দেশের কোন লীগ ছাড়া অন্য কোথাও খেলেন না। মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের ৩টি ওয়ানডে ও ৩টি টি২০ ম্যাচ রয়েছে। ম্যাচগুলো এশিয়া ও বিশ্ব একাদশের ম্যাচের আগেই শেষ হয়ে যাবে। এরপর বাংলাদেশে খেলতে আসতে পারেন ভারতের শীর্ষ ক্রিকেটাররা। এই ম্যাচ দিয়ে আবার ধোনি খেলায়ও ফিরতে পারেন। এই দুটি ম্যাচকে বিশেষ আকর্ষণ করে তোলার ব্যবস্থা নিয়েছে বিসিবি। যত বেশি আকর্ষণীয় করা যায়। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার গোলাপি বলে দিবারাত্রি টেস্টে কেমন আয়োজন হয়েছে তা পরখ করেছেন বিসিবি কর্মকর্তা। টেস্টটি চলার সময়ও বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলীর কথা হয়েছে। আশ্বাসও মিলেছে। গাঙ্গুলী যেহেতু ম্যাচ দুটিতে উপস্থিত থাকার কথা নিজেই জানিয়েছেন, তার মানে তিনি ক্রিকেটারও দেবেন। তিনি উপস্থিত থাকবেন আর তার দেশের ক্রিকেটাররা থাকবেন না তাই কি হয়। তার মানে ম্যাচটিতে ভারত ক্রিকেটাররাও থাকছেন। অবশ্য ভারত ক্রিকেটাররা ম্যাচটিতে থাকলেও পাকিস্তান ক্রিকেটারদের এই ম্যাচটিতে নাও দেখা যেতে পারে। দুটি ম্যাচ যেহেতু বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে করা হচ্ছে। বঙ্গন্ধুর নাম যেখানে জড়িত, সেখানে কী পাকিস্তানের নাম জড়িয়ে থাকতে পারে? পারে না। এমনটিই ভাবা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে কি হয়। তবে পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের নিয়ে ভাবতে হবে। অন্য এশিয়ার দেশগুলোর ক্রিকেটার নিয়ে এত বেশি ভাবার কিছু থাকছে না বিসিবির। বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ। তিনি খেলতে পারবেন না। আর তাই সাকিবের অলরাউন্ড ভূমিকায় বিকল্প হিসেবে আফগানিস্তানের রশিদ খান থাকতে পারেন। শ্রীলঙ্কার শীর্ষ ক্রিকেটাররাও থাকতে পারেন। তবে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে যেন ভারত ক্রিকেটারদের অন্তর্ভুক্তি। আর তাতে কোহলি, ধোনি, বুমরাহ, রোহিত, পা-িয়া, ভুবনেশ্বর ও জাদেজাকে দেখা যেতে পারে। তারা থাকলে ম্যাচটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। সেই ব্যবস্থাই করার চেষ্টা করছে বিসিবি।
×