ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাতক্ষীরায় হোটেলে স্কুলছাত্রী ধর্ষিত ॥ আটক দুই

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

সাতক্ষীরায় হোটেলে স্কুলছাত্রী ধর্ষিত ॥ আটক দুই

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ শহরের একটি হোটেলে এনে ৭ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই ধর্ষককে আটক করেছে র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের সদস্যরা। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় র‌্যাব সাতক্ষীরা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক লেঃ বিএন এম. মাহমুদুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান। আটক ধর্ষকরা হলো, তালা উপজেলার জেঠুয়া গ্রামের মৃত আনছার আলী গাজীর ছেলে আকবর আলী গাজী (৩৮) ও একই উপজেলার জালালপুর গ্রামের হাফিজুল মোড়লের ছেলে হোসাইন মোড়ল (১৮)। অভিযোগ, কথিত প্রেমিক হোসাইন মোড়ল ও তার সহযোগী আকবর গাজী সকালে ফুসলিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে শহরের অদূরে মন্টু মিয়ার বাগানবাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তারা শহরের বাসটার্মিনাল সংলগ্ন হাসান আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে আসে ওই স্কুল ছাত্রীকে। এরপর এই রুমে কথিত প্রেমিক হোসাইন মোড়ল তাকে প্রথমে ধর্ষণ করে। এ সময় আকবর গাজী তার ট্যাবে উক্ত ধর্ষণ চিত্র ধারণ করে। পরবর্তীতে আকবর গাজী তার ধারণকৃত ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে সেও তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের পলাশপোল এলাকা থেকে কিশোরী ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষক হোসাইন মোড়ল ও আকবর গাজীকে ভিডিও চিত্র ধারণকৃত ট্যাবসহ আটক করেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোনারগাঁয়ে তিন সন্তানের জননী সংবাদদাতা সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, থেকে জানান, সোনারগাঁয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তিন সন্তানের জননীকে নুরুল হক (৫০) নামের এক বখাটে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই নারী (৪০) বাদী হয়ে সোমবার রাতে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাধুরচর গ্রামের মৃত রমু ভূঁইয়ার ছেলে নুরুল হক দীর্ঘদিন ধরে তার পার্শ্ববর্তী এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে আসছে। তাদের সম্পর্কের কথা পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে তা না মেনে নারীকে অন্যত্র বিয়ে দেয়। বিয়ের পর নারীর স্বামী প্রায় ৮ বছর আগে মারা যাওয়ার সুযোগে আবারও নুরুল হক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে একাধিকবার ধর্ষণ করে। গত ২১ নবেম্বর রাতে লাধুরচর গ্রামে নারীর ভাতিজার বসতঘরের একটি কক্ষে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। পরে নুরুল হককে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে ধর্ষক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে সোমবার রাতে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
×