ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উন্নত দেশ গড়তে

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

উন্নত দেশ গড়তে

উন্নত দেশ গড়তে ২০ বছরের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে (পিএমও) দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১-এর ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখেন। সরকার বাংলাদেশকে ২০৪১ সাল নাগাদ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এই লক্ষ্য অর্জনে প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়েছে। ইতোমধ্যেই ২০২০ থেকে ২০৪১ সাল নাগাদ দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে সরকার। বিশ্ব এখন অবাক বিস্ময়ে চেয়ে থাকে বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্বব্যাংক ও এডিবির সাহায্য ছাড়া সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। দৃশ্যমান হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সম্ভাবনার বাংলাদেশে উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন সবকিছু সম্ভব। যথাসময়ে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে। উন্নয়নে বাংলাদেশের মাইলফলক হবে পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে দৌলতদিয়ায় তৈরি হবে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু। উদ্বোধন হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। এত বড় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপানসহ বিশ্বের আর কোথাও নেই। ৩০০ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার কাজও শুরু হয়েছে। উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পাঠিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ কখনও ভাবেনি বাংলাদেশ মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠাতে পারবে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহাকাশে আমরাও আমাদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছি, এটা ভাবলে ভাল লাগে। বাংলাদেশের বিরাট অর্জন। দেশের চলমান উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে অচিরেই দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। ইতোপূর্বে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৮ দশমিক ১ শতাংশ। বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা ২০২৩-২৪ সালে এই প্রবৃদ্ধির হারকে ডবল ডিজিটে (১০ শতাংশ) নিয়ে যাওয়া। এটি যে খুবই সম্ভব, এমন সম্ভাবনা উজ্জ্বল। দেশে এখন অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের কাজ চলছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষের হাতে পৌঁছেছে ১৩ কোটি মোবাইল সিম। সহজতর হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। বিকশিত হতে শুরু করেছে সবুজ ও সুনীল অর্থনীতি। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মূল্যায়ন করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর ১০টি সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধির দেশের একটি। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সূচকে তার অবস্থান ৩৪তম। উন্নয়নের সূচকগুলো উর্ধমুখী। গত এক দশকে মোট জিডিপি ৯১ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ২৮৫ বিলিয়ন ডলার হতে যাচ্ছে। দারিদ্র্য নেমে এসেছে অর্ধেকে। মূল্যস্ফীতি কমেছে। বেড়েছে মাথাপিছু আয়। অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নে গত এক দশকে বর্তমান সরকারের অর্জন এককথায় অসাধারণ। শেখ হাসিনার মতো দৃঢ়চেতা ও সংকল্পবদ্ধ মহান দেশপ্রেমিক নেতার নেতৃত্বগুণে সকল বাধা ছিন্ন করে মাতৃভূমি সুনিশ্চিতভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবেÑ এমনটিই জাতির প্রত্যাশা।
×