ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কাল নেপাল যাত্রা জামাল ভুইয়াদের, লক্ষ্য স্বর্ণজয়

প্রকাশিত: ০৭:৫৮, ২৬ নভেম্বর ২০১৯

 কাল নেপাল যাত্রা জামাল ভুইয়াদের, লক্ষ্য স্বর্ণজয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নয় বছর ধরে শিরোপা বঞ্চিত। আর নয়, অনেক হয়েছে, যেভাবেই হোক এই খরা ঘোঁচাতেই হবে। এই লক্ষ্যে দৃঢ়প্রত্যয়ী লাল-সবুজ বাহিনী। এই মিশন নিয়েই কাল বুধবার নেপাল যাচ্ছে জেমি ডের শিষ্যরা। লক্ষ্য সাউথ এশিয়ান গেমসের (এসএ গেমস) ফুটবল ইভেন্টের সোনার পদক পুনরুদ্ধার করা। তবে প্রস্তুতি ঘাটতি নিয়েই হিমালয়ের দেশে যেতে হচ্ছে ফুটবল দলকে। তার ওপর কাঠমান্ডুতে যে হোটেলটি ঠিক করে রাখা হয়েছে জামাল ভুঁইয়াদের জন্য, তার মান নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। ফুটবলাররা বুধবার সকালে কাঠমান্ডুর উদ্দ্যেশ্যে রওনা হলেও কোচ জেমি ডে কখন নেপালে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ইংল্যান্ড থেকে (ছুটি কাটাতে গিয়েছেন) জেমি জানিয়েছেন, কাঠমান্ডুতে কখন যাব, তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। কারণ নেপালে ফুটবল দলের জন্য যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা যথেষ্ট মানসম্পন্ন নয়। বাফুফেকে নতুন হোটেলের ব্যবস্থা করতে বলেছি। সে অপেক্ষাতেই আছি। আগামী ১-১০ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারায় হবে এসএ গেমসের ত্রয়োদশ আসর। ফুটবলে বাংলাদেশ খেলবে গ্রুপ এ-তে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে। উদ্বোধনী দিনেই বাংলাদেশের ম্যাচ নেপালের বিপক্ষে গ্রুপে বাংলাদেশের পরের ম্যাচটি হবে ৩ ডিসেম্বর ভুটানের বিপক্ষে। সে হিসেবে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে যাওয়া মোটামুটি সহজই। বি-গ্রুপে খেলছে ভারত, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা। যদিও ভারতের খেলা বা না খেলা নিয়ে এখনও আছে সংশয়। দুই গ্রুপ থেকে সেরা দুটি করে দল খেলবে সেমিফাইনালে। সেখানে বিজয়ী দুই দল মুখোমুখি হবে সোনার লড়াইয়ে। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দুই দল খেলবে তাম্রপদকের জন্য। এসএ গেমসে বাংলাদেশ ফুটবল দল সর্বপ্রথম নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলো ১৯৯৯ সালে। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম স্বর্ণজয়ের গৌরব অর্জন করেছিলো লাল-সবুজরা। সেই আসরটিও হয়েছিলো এবারের মতোই কাঠমান্ডুতে। এরপর দীর্ঘ ১১ বছরের অপেক্ষা! ২০১০ সালে আবারও স্বর্ণ জিতে বাংলাদেশ। সেটি নিজেদের ঘরের মাটিতে, ঢাকায়। এরপর সর্বশেষ আসরে ভারতের কাছে সেমিফাইনালে হেরে তাম্রপদক জেতে বাংলাদেশ। এবার আবারও সেই নেপালেই এসএ গেমস। বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতেরও এই আসরে খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ফলে আবারও স্বর্ণজয়ের স্বপ্ন দেখছে লাল-সবুজ বাহিনী। তবে মূল লড়াইয়ে নামার আগে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলা সম্ভব হচ্ছে না। দশদিনের ক্যাম্প করার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে মাত্র চার দিনের! এর মধ্যেই আবার গোঁদের ওপর বিষফোঁড়া- যোগ হয়েছে হোটেল সমস্যা! মানাং নামের থ্রি স্টার সেই হোটেলে নেই কোন জিমনেশিয়াম এবং সুইমিং পুল। ফলে এই হোটেলে উঠলে প্রস্তুতি নিতে অনেক সমস্যা হবে বাংলাদেশ দলের। হোটেলের মান নিয়ে আপত্তি বাংলাদেশের কোচের। বাফুফে থেকেও ইতোমধ্যেই হোটেল পরিবর্তনের জন্য বলা হয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনকে (বিওএ)। এখন দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কি হয়।
×