ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জামালপুরে ‘শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী’

প্রকাশিত: ১২:১২, ২৬ নভেম্বর ২০১৯

জামালপুরে ‘শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী’

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর ॥ জামালপুর শহরের দয়াময়ীতে প্রায় সাড়ে আট একর জমিতে গড়ে উঠছে ‘শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী’। নির্মাণাধীন এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জেলার শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য বিকাশের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর শহরের দয়াময়ী এলাকায় প্রায় সাড়ে আট একর জমির ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অর্থায়নে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠছে শেখ হাসিনা সাংস্কৃতি পল্লী। ওই পল্লীর প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এ জেলা বাংলার শেষ নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লাহ খ্যাত অভিনেতা আনোয়ার হোসেন, নাট্যকার আমজাদ হোসেন, আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, ওস্তাদ ফজলুল হক, গীতিকার নজরুল ইসলাম বাবুর মতো সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন গুণী মানুষদের জেলা। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো তাদের দৈনন্দিন সাংস্কৃতিকচর্চার মাধ্যমে বড় বড় শিল্পী, কলা-কৌশলী, কবি-সাহিত্যিক হয়ে ওই সব সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন গুণী মানুষদের পাশাপশি এ জেলার সম্মান সারাদেশে ছড়িয়ে দেবে। বিনোদনের সঙ্গে সঙ্গে শিশু-কিশোরদের মেধার বিকাশ ঘটবে। ওই পল্লীতে থাকছে- চার তলার ওপরে শহীদ মিনার, মিউজিয়াম, কালচারাল ভবন, কমার্র্শিয়াল ভবন, সুপ্রশস্ত লেক, ফেরিজুইল যা দেশের কোন পার্কে স্থাপন করা হয়নি, আরও থাকছে থ্রি-ডি সিনেপ্লেক্স। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুশান্ত দেব কানু জানান, শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লীটি জামালপুরের উন্নয়নের এক মহাযজ্ঞ। কবি সাযযাদ আনসারী জানান, সাংস্কৃতিক পল্লী জামালপুরের মানুষের চিত্ত-বিনোদনের পাশাপাশি সংস্কৃতির অনেক পরিবর্তন ঘটবে। তবে তিনি এখানে একটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট না হলেও ন্যূনতম একটি সাংস্কৃতিক কলেজের দাবি জানান। মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম জানান, জামালপুর আসলে সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধ জেলা। এই জেলাতে একটি সাংস্কৃতিক পল্লীর আকাক্সক্ষা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আকাক্সক্ষা পূরণ করেছেন। এ জেলার মানুষ বিনোদনের ও সংস্কৃতির একটি জায়গা পেল। সাংবাদিক সুজিত রায় জানান, শহরের শিশু-কিশোরদের খেলার মাঠ সঙ্কট। ওই কর্মযজ্ঞটি শেষ হলে অন্তত শিশু-কিশোরদের জন্য বিনোদনের একটা ব্যবস্থা হবে। পল্লীটি চালু হলে সংস্কৃতিচর্চারও নির্দিষ্ট একটা জায়গা পাবে। শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লীর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লীর কাজ ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হয়েছে। আগামী ২০২০ সালের শেষের দিকে এর কাজ শেষ হবে। ওই কাজ শেষে উন্নয়ন ব্যয় দাঁড়াবে ১৭০ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেছুর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, রিভাইজ প্রকল্পের কয়েকটি কাজের সঙ্গে যুক্ত হবে। রিভাইজ প্রকল্পটি পাস হলে বলা যাবে কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে। চলমান কাজগুলো খুব দ্রুত গতিতে চলেছে।
×