ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে বিপিএলে দল পেলেন এবাদত

প্রকাশিত: ১২:০৭, ২৬ নভেম্বর ২০১৯

অবশেষে বিপিএলে দল পেলেন এবাদত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি২০ প্রতিযোগিতার বিশেষ আসর অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং ৭টি দল প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে নিজেদের পছন্দমতো ক্রিকেটারকে নিয়ে স্কোয়াডও গড়েছে। সেই প্লেয়ার্স ড্রাফটে দল পাননি কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার। যার মধ্যে বর্তমানে জাতীয় দলের হয়ে টেস্টে প্রায় নিয়মিত হওয়া ডানহাতি পেসার এবাদত হোসেন চৌধুরী অন্যতম। ভারতে ইডেন টেস্টে দুর্দান্ত বোলিং করে নজর কেড়েছেন এ পেসার। আর তারই সুফল হিসেবে আসন্ন বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দল পেয়েছেন তিনি। সিলেট থান্ডার প্লেয়ার্স ড্রাফটের ‘সি’ গ্রেডে থাকা সিলেটের এ ২৫ বছর বয়সী পেসারকে দলে টেনেছে। ড্রাফট অনুসারে এই গ্রেডে থাকায় এবাদতের পারিশ্রমিক হওয়ার কথা ১২ লাখ টাকা। ভারত সফরে যাওয়ার আগে ক্যারিয়ারে মাত্র ২ টেস্ট খেলেছিলেন এবাদত। সেই দুই টেস্টে তেমন উজ্জ্বলতা ছড়াতে পারেননি। এবার তাই গত ১৭ নবেম্বর অনুষ্ঠিত বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে উপেক্ষিতই থেকেছেন তিনি। কিন্তু ইন্দোর টেস্টে বেশ ভালই বোলিং করেন তিনি, অন্যদের ব্যর্থতার মাঝে কিছুটা মিতব্যয়ী বোলিং করে ১টি উইকেটও তুলে নেন। আর ইডেনে ঐতিহাসিক দিবারাত্রির টেস্টে তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। ক্যারিয়ারসেরা টেস্ট বোলিং উপহার দেন তিনি। দখল করে রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পুজারা ও বিরাট কোহলিদের মতো তিন ব্যাটসম্যানের উইকেট। দুর্দান্ত সেই বোলিংটা এবাদতের সামর্থ্যকে ভালভাবেই প্রমাণ করেছে। তাই দেশে ফেরার আগেই আসন্ন বিপিএলে দল পেয়ে গেলেন তিনি। ড্রাফট তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের থেকে নিয়ম ছিল প্রতিদলে সর্বোচ্চ ১১ দেশী ও ৮ বিদেশী ক্রিকেটার নেয়া যাবে। প্রতিদলে ন্যূনতম ৯ দেশী ও ৬ বিদেশীকে নিতেই হবে। তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে অবিক্রিতদের মধ্যে থেকে পরবর্তীতে বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করে পছন্দমতো খেলোয়াড় নিতে পারবে দলগুলো। এই প্রক্রিয়ায় এখনও অবিক্রিত দেশী খেলোয়াড়দের দল পাওয়ার সুযোগ ছিলই। কারণ অংশগ্রহণকারী কোন দলই ক্রিকেটার নেয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেনি। দেশী খেলোয়াড় নেয়ার ক্ষেত্রে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন, খুলনা টাইগার্স, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও রাজশাহী রয়্যালস নেয় ১০ জন করে এবং সিলেট থান্ডার, রংপুর রেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স নেয় ৯ জন করে। অর্থাৎ ৭ দলে সবমিলিয়ে ১০ দেশী খেলোয়াড়ের সুযোগ ছিল দল পাওয়ার। দল না পাওয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় কয়েকটি বড় নাম বাদ পড়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- আশরাফুল, নাফিস, এবাদত, খালেদ, রাজ্জাক, তুষার, নাঈম ইসলাম, জিয়া, ইলিয়াস, লিখনরা। দলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকলে শেষ পর্যন্ত বিপিএল শুরুর আগেই তারাও দল পেয়ে যেতে পারেন। এবাদত অবশ্য নিজ এলাকার দলই পেয়ে গেলেন ভারতে থাকতে থাকতেই। এখন দেখা যাক বাকিদের ভাগ্যে কি ঘটে? সিলেট থান্ডার দল ॥ দেশীÑ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (এ), মোহাম্মদ মিঠুন (এ), দেলোয়ার হোসেন (সি), রুবেল মিয়া (ডি), নাজমুল ইসলাম অপু (বি), সোহাগ গাজী (সি), রনি তালুকদার (বি), নাঈম হাসান (বি) ও মনির হোসেন খান (সি) ও এবাদত হোসেন চৌধুরী (সি)। বিদেশীÑ জনসন চার্লস (ডি), শেরফানে রাদারফোর্ড (বি), শফিকুল্লাহ শাফাক (ডি), নবীন উল হক (সি), জীবন মেন্ডিস (সি)।
×