ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আদমদীঘিতে অবাধে কেনাবেচা হচ্ছে মাদক

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ২৬ নভেম্বর ২০১৯

আদমদীঘিতে অবাধে কেনাবেচা হচ্ছে মাদক

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, বগুড়া, ২৫ নবেম্বর ॥ আদমদীঘিতে কমেনি মাদক বিক্রেতাদের অবাধ তৎপরতা। উপজেলার সকল ইউনিয়ন সদর এবং মাদকের আখড়া নামে পরিচিত সান্তাহার জংশন শহরে বিভিন্ন ধরনের মাদক অবাধে কেনাবেচা হচ্ছে। মাদকবিরোধী অভিযানে সান্তাহার ফাঁড়ি ও আদমদীঘি থানা পুলিশ মাঝে মধ্যে চিহ্নিত মাদক বিক্রেতাদের গ্রেফতার করলেও বন্ধ নেই মাদক কারবার। যে বা যিনি গ্রেফতার হন তার স্থানে আসেন সাগরেদরা। সান্তাহার শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লাসহ স্টেশন এলাকায় ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে মাদকের কেনাবেচা। বর্তমানে সান্তাহার পৌর শহরের চা-বাগান, হরিজন কলোনি ও মালশন, সরকারী কলেজ এলাকা মাদক কারবারের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। এখানে ট্রেন পথ ও সড়ক পথে মাদক এসে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়। শহরের হরিজন কলোনিতে হরিজন সম্প্রদায়ের নিমচর বাঁশফোর, কৃঞ্চা বাঁশফোর, সঞ্চয় বাঁশফোর, ভিমা বাঁশফোর, সৌদাগড় বাঁশফোর, বাওনা বাঁশফোরসহ অনেক হরিজন এবং চা-বাগান এলাকায় নয়ন, মনির, শিবলু। মালশন এলাকায় মহসিন, লিয়ন। নতুন বাজার (হাটখোলা) এলাকায় রাকিব, মিলন। রথবাড়ী এলাকায় রেবেকাসহ কয়েক মাদক বিক্রেতা পাইকারি কেনাবেচা করে। ওই সব এলাকাবাসীর অভিযোগ যে, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও পুলিশের ছত্রছায়ায় চলছে মাদক বিক্রি। এসকল মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে মেলে হোরোইন, ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের নেশার ইনজেকশন। পাশের জেলা নওগাঁর ১১টি উপজেলাসহ বগুড়া জেলার সমগ্র এলাকা এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় সান্তাহার শহর থেকে মাদক সরবরাহ হয়ে থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক মাদকসেবী জানান, কিছু দিন আগে সান্তাহার ফাঁড়ি ও থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানের প্রথম দিকে কয়েক দিন মাদক মেলেনি। কিন্তু অভিযান ঢিলেঢালা হবার পর থেকে এখন সব ধরনের মাদক মিলছে। কিন্তু দাম অনেক বেড়ে গেছে। বর্তমানে শহরের চা-বাগান ও হরিজন কলোনি এলাকায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মাদক মিলছে। মাঝে মধ্যে আদমদীঘি থানা পুলিশ সান্তাহারে অভিযান চালিয়ে মাদকসেবীদের আটক করে থাকে। তবে অভিযোগ রয়েছে মাদকসেবী আটকের পর পুলিশ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাদক আইনে মামলা দায়ের না করে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ৩৪ ধারায় মামলা গ্রহণ করে।
×