ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাকিংহাম প্যালেস থেকে সরছে প্রিন্স এ্যান্ড্রুর অফিস

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ২৬ নভেম্বর ২০১৯

বাকিংহাম প্যালেস থেকে সরছে প্রিন্স এ্যান্ড্রুর অফিস

ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথের দ্বিতীয় ছেলে প্রিন্স এ্যান্ড্রু বাকিংহাম প্রাসাদে তার ব্যক্তিগত অফিস ত্যাগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। একইসঙ্গে তিনি স্বউদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার উপায় খুঁজছেন। জনজীবন এড়িয়ে চলতে রাজি হওয়া সত্ত্বেও তিনি এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। গার্ডিয়ান ও বিবিসি। শুক্রবার প্রাসাদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, ডিউক অব ইয়র্ক প্রকল্প নিয়ে কাজ করে যেতে আগ্রহী। শিশু যৌন নির্যাতনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত জেফ্রি এপস্টেইনের সঙ্গে তার যোগাযোগ থাকায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমনকি সর্বশেষ বারক্লেইসও তার সঙ্গে সংস্র্রব ছিন্ন করেছে। প্রাসাদের এক মুখপাত্র বলেন, ডিউক প্রকল্পটি নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন এবং খুঁজবেন কিভাবে তিনি এটা বাইরে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এবং বাকিংহাম প্রাসাদের বাইরে। আমরা মেনে নিচ্ছি একটি নির্দিষ্ট সময় লাগবে যখন এই পরিবর্তন ঘটবে। এর আগে আত্মহত্যাকারী মার্কিন বিনিয়োগকারী জেফ্রি এপস্টেইন কেলেঙ্কারী ব্রিটিশ রাজপরিবারের কর্মকা-ে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে জানিয়ে প্রিন্স এ্যান্ড্রু রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। গত বুধবার বাকিংহাম প্যালেস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার ঘোষণা দেন। এপস্টেইনের সঙ্গে বন্ধুত্বকে অবিবেচনা প্রসূত বলেও বর্ণনা করেন তিনি। ৫৯ বছর বয়সী প্রিন্স এ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে এপস্টেইনের সরবরাহ করা ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীর সঙ্গে যৌন মিলনের অভিযোগ উঠে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। যৌনতার উদ্দেশে মানব পাচারের কয়েকটি অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে বিচারের অপেক্ষায় থাকা এপস্টেইন চলতি বছরের আগস্টে জেলের ভেতরেই আত্মহত্যা করেন। বিবিসিতে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাতকারে এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক ও তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন এ্যান্ড্রু। ওই সাক্ষাতকারটি প্রচারিত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে। যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পিন্স এ্যান্ড্রু সংশ্লিষ্ট দাতব্য সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সংস্রব ত্যাগ করার ঘোষণা দিলে রাজপরিবারের ওপর চাপ বাড়তে থাকে। এর মধ্যেই এ্যান্ড্রু আপাতত রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো এবং এপস্টেইনকে নিয়ে পুলিশের তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তাকে ঘিরে এ কেলেঙ্কারীর বিষয়টি যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতেও বড় ধরনের ছায়া ফেলেছে। সম্প্রতি আইটিভিতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিনের নির্বাচনী বিতর্কেও প্রসঙ্গটি উঠেছিল। বিবিসি লিখেছে, রানি এলিজাবেথের তিন সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় প্রিন্স এ্যান্ড্রু গত কয়েক বছর ধরেই এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার মুখে ছিলেন।
×