ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পেঁয়াজের মূল্য আবার উর্ধমুখী

প্রকাশিত: ১০:৩৭, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

পেঁয়াজের মূল্য আবার উর্ধমুখী

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চাহিদার তুলনায় সরবরাহ নেই। ফলে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের মূল্য পরিস্থিতি কিছুটা হ্রাস পাওয়ার পর আবারও উর্ধমুখী হয়েছে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইয়ের আড়তগুলোতে স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার এবং চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মিসর, তুরস্ক ও চীন থেকে আমদানির পেঁয়াজ যখনই আসছে তা নিমিষেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজ যাচ্ছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইয়ের আড়ত থেকে। সারাদেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা এখন চট্টগ্রামমুখী। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত এমন চিত্র ছিল না। এদিকে, রবিবার চট্টগ্রামের পেঁয়াজের পাইকারি বাজারমূল্য শনিবারের তুলনায় আরেকদফা কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আকাশপথে যে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই কম হওয়ার কারণে বাজার পরিস্থিতি নিম্নমুখী হচ্ছে না। এছাড়া বেসরকারী শিল্পগ্রুপ এস আলমের আমদানির পেঁয়াজ এককভাবে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি হওয়ার কথা রয়েছে। খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা জানিয়েছেন, এতে হয়ত শহরাঞ্চলের মানুষের কাছে নির্ধারিতমূল্যে পেঁয়াজ সরবরাহ হতে পারে কিন্তু অবশিষ্টদের অবস্থা কী হবে তা সহজে অনুমেয়। বাজার সূত্র জানিয়েছে, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা দৈনিক ৫ থেকে ৬ হাজার টন। বর্তমানে মানুষ উচ্চমূল্যের কারণে সচেতন হওয়ায় চাহিদা কিছুটা কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে আড়তদারদের সূত্রে জানানো হয়েছে, বর্তমানে চাহিদা যদি দৈনিক ৩ হাজার টনও ধরা হয় সেক্ষেত্রে তার অর্ধেক পরিমাণ পেঁয়াজও পাইকারি বাজারে সরবরাহ নেই। রবিবার টেকনাফ থেকে মিয়ানমারের পেঁয়াজ এসেছে ২৫ ট্রাক। প্রতি ট্রাকে ১৪ টন সরবরাহ হয়ে থাকে। সে হিসেবে ২৫ ট্রাকে এসেছে ৩৫০ টন। খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইয়ের বাজারে স্বাভাবিক সময়ে যেখানে দৈনিক ৩ হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়ে থাকে সেখানে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টন পেঁয়াজ এলে তা নিমিষেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া পেঁয়াজের আমদানি মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের পর। সূত্র জানায়, পেঁয়াজের উচ্চমূল্যের এমন ঘটনা দেশের ইতিহাসে এই প্রথম। এ অবস্থায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শুরু থেকে তেমন উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেনি বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রয়েছে। পেঁয়াজের আমদানি পর্যায়ে যেখানে কোন শুল্ক নেই, সেখানে শূন্য মার্জিনে এলসির সুবিধা অবাধ করে দেয়া হলে এমন পরিস্থিতি হওয়ার অবকাশ হতো না বলে ব্যবসায়ীদের অভিমত রয়েছে কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা বরং আড়তদার, মজুদদারদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতিকে আরও টাল-মাটাল করে দিয়েছে বলে বাজার সূত্রে জানানো হয়েছে। অনেকে পেঁয়াজের ব্যবসা এ মুহূর্তে করছেন না। কারণ, পেঁয়াজ রাখলেই হানা দিচ্ছে বিভিন্ন সংস্থার লোকজন আর ম্যাজিস্ট্রেট করছেন জরিমানা।
×