নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ২৪ নবেম্বর ॥ বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে উচ্ছেদের পর এবার ওয়াইজঘাটে দোকান বসাল খোদ বিআইডব্লিউটিএ। ৬ মাস আগে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করলেও এবার বিআইডব্লিউটিএর কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যবস্থাপনায় সদরঘাটের পাশ ঘেঁষে ওয়াইজঘাটে বসেছে শীতবস্ত্রের দোকান।
ফলে উচ্ছেদের পর নদী তীরে যে সৌন্দর্য আবহ সৃষ্টি হয়েছিল, তা আবার হারিয়ে গেছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, গত ১৫ নবেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়াইজঘাট ও সোয়ারীঘাট এলাকার মধ্যবর্তী জায়গায় বাজার বসানোর জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই তিন মাসের জন্য প্রায় সোয়া দুই লাখ টাকায় আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে সেখানে বাজার বসানোর অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, আনোয়ার হোসেন ঘাটশ্রমিক একতা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি। কাগজে-কলমে আনোয়ার হোসেনকে বাজার বসানোর অনুমতি দেয়া হলেও এর পেছনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুর রহমান মিয়াজি, ওয়ার্ড যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েক নেতার যোগসাজশে চলছে এই অবৈধ বাজার।
বিআইডব্লিউটিএর এমন সিদ্ধান্তে হতবাক ও বিস্ময় প্রকাশ করেছে অনেকে। বুড়িগঙ্গার তীরে এভাবে বাজার বসানোর অনুমতি দেয়া ঠিক হয়নি বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। ওয়াইজঘাটের এক ফল ব্যবসায়ী জানান, একটি বাজার বসানোর অনুমতি দেয়ার কারণে পর্যায়ক্রমে অন্য এলাকায়ও অনুরূপ দোকান কিংবা বাজার বসানোর চেষ্টা করবে। তখন তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে বলেও মন্তব্য করেন ওই ফল ব্যবসায়ী। আবার অনেকে বলেন,বিআইডব্লিউটিএ নিজে রক্ষক হয়ে উচ্ছেদ করলেও ভক্ষকের বেশে নিজেরাই দোকান বসিয়েছে।
এসকল দোকান সম্পর্কে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন জানান উর্ধতন কর্তৃপক্ষ শর্তসাপেক্ষে ৩মাসের জন্য ওয়াইজঘাটের পটুয়াখালীর লঞ্চঘাটের গ্যাংওয়ে ১ ও ২ এর অংশ শীতবস্ত্র বিক্রির অনুমতি দেয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: