ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মানিকগঞ্জে তামাকজাত দ্রব্যসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ২৪ নভেম্বর ২০১৯

মানিকগঞ্জে তামাকজাত দ্রব্যসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ

অনলাইন ডেস্ক ॥ মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি কাভার্ডভ্যানসহ ৫৫০০ কেজি আংশিক প্রক্রিয়াজাতকরণ তামাক জব্দ করেছে কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিস। সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্যামলী জিহাদ কার্গো সার্ভিসের ওই কাভার্ডভ্যানটিকে আটক করে। সন্ধ্যায় কর চালানপত্র ব্যাতিত তামাকজাত দ্রব্য পরিবহনের দায়ে মানিকগঞ্জ সদর থানা থেকে হেরিটেজ টোব্যাকোর ওই তামাক কাভার্ডভ্যানসহ ভ্যাট অফিস তাদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। মানিকগঞ্জ কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সহকারী কমিশনার নাসির উদ্দিন মাহমুদ খান জানান, কর চালানপত্র ছাড়া কর ফাঁকি দিয়ে কুষ্টিয়া থেকে শ্যামলী জিহাদ কার্গো সার্ভিসের একটি কাভার্ডভ্যানে ৫৫০০ কেজি তামাকজাত দ্রব্য কিশোরগঞ্জের ভৈরবের হেরিটেজ টোব্যাকোতে যাচ্ছিল। গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে কাভার্ডভ্যানটিকে জব্দ করে পুলিশ। তিনি আরো জানান, কুষ্টিয়ার গ্লোবাল ইন্ড্রাষ্ট্রিজ থেকে ওই পরিমান তামাক হেরিটেজ টোব্যাকো কোম্পানি করফাঁকি দিয়ে এইচ আর এস ইন্ড্রাষ্ট্রিজের নামে চালান করে নিয়ে যাচ্ছিল। জব্দকৃত তামাকের মূল্য ১৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। হেরিটেজ কোম্পানির নামে করফাঁকির মামলা হয়েছে এবং কাভার্ডভ্যানসহ তামাকগুলো জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য গত বুধবার মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে দেড় টন অবৈধ তামাকসহ একটি ট্রাক জব্দ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এছাড়া গত ২৯ আগষ্ট রাজধানীর ওয়ারী থানা এলাকা থেকে এই একই কোম্পানীর (গ্লোবাল লিফ টোব্যাকো) কাট টোব্যাকোসহ ত্রিপল দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় শুল্ক ফাঁকি দেয়া তামাক বোঝাই একটি ট্রাক জব্দ করেছিলো র্যাব-৩। পরে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরে হস্তান্তর করা হয়। সরকারের কঠোর ব্যবস্থা ও পদক্ষেপের পরও গ্লোবাল লিফ টোব্যাকোর মতো অবৈধ কোম্পানীগুলো এ কাজ করে চলেছে। ফলে রাজস্ব ফাঁকি দেয়া এসব কোম্পানীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে সরকারের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। উল্লেখ্য, সরকারের মোট রাজস্ব আয়ের অন্তত ১০ শতাংশ তামাক খাত থেকে আসে। বর্তমানে দেশের বাজারে প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট রয়েছে। আটককৃত এসব শুল্ক ফাঁকি দেয়া কাট টোব্যাকো অবৈধ সিগারেট উৎপাদনেই ব্যবহৃত হয়। ফলে সরকার বছরে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
×