ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আড়িয়ালখাঁয় ধসে পড়ছে বাড়ি ॥ হুমকিতে শতাধিক স্থাপনা

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ২৪ নভেম্বর ২০১৯

আড়িয়ালখাঁয় ধসে পড়ছে বাড়ি ॥ হুমকিতে শতাধিক স্থাপনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২৩ নবেম্বর ॥ মাদারীপুর পৌর এলাকার মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া আড়িয়ালখাঁ নদে হঠাৎ করে ধসে পড়ছে একের পর এক বাড়িঘর। ফাটলের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে চন্দ্রপাড়া মুরিদানদের খানকা শরীফসহ আরও শতাধিক বাড়ি-স্থাপনা। মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে জনকণ্ঠ সাংবাদিকের ভাড়াবাড়ি। যে কোন মুহূর্তে এসব বসতবাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগে জানা গেছে, মাদারীপুর পৌরসভার মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া আড়িয়ালখাঁ নদে হাইক্কার মার ঘাট এলাকা থেকে পাঠককান্দি হয়ে এ. আর হাওলাদার জুট মিলের পশ্চিম গেট পর্যন্ত প্রায় এক কি.মি. জায়গাজুড়ে বিরাট ফাটল ধরেছে। এই ফাটলের কারণে হঠাৎ করে দুইদিনের মধ্যে পাঠককান্দি এলাকার বহু বসতবাড়িসহ গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা ধসে নদীতে চলে গেছে। ক্রমাগতভাবে দেবে যাচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িঘর। কোন কোন বাড়ি ৮ থেকে ১০ ফুট, কোন বাড়ি ৪-৫ ফুট দেবে গেছে। জনকণ্ঠের সাংবাদিক সুবল বিশ্বাসের ভাড়া বাড়ির (কালাম হাওলাদারের বাড়ি) ও সোনামিয়া মোল্লার বাড়ির একাংশ দেবে গেছে। ৮০ ভাগ ভেঙ্গে পড়েছে চন্দ্রপাড়া মুরিদানদের খানকা শরীফ। হুমকির মুখে আরও শতাধিক ঘরবাড়ি-স্থাপনা। যে কোন মুহূর্তে এসব বসতবাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। সম্পদ ও শিশু সন্তানদের নিরাপত্তায় এসব বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ারা রাত জেগে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছে। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খানকা শরীফ, আলী ঘরামীর বাড়ি, চুন্নু গৌড়া, আলমগীর তালুকদার, মুরাদ হাওলাদার, আবুল কালাম হাওলাদার, সোনামিয়া মোল্লা, মোশারফ হোসেন, এ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন আরমিন, ডাঃ আবদুল হান্নান, মোহাম্মদ আলী, লিটন চৌকিদারের বাড়ি। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ওবাইদুর রহমান খান, পৌর মেয়রের প্রতিনিধি এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থপ্রতীম সাহা বলেন, ‘আমি সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখে এসে ঢাকায় রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি। আজ অফিস বন্ধ, রবি-সোমবারের মধ্যে অনুমোদন পেলে আগামী সপ্তাহে নদীতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে।’ জেলা প্রশাসক, মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দ্রুত নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।’
×