ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দাম কিছুটা হ্রাস পেলেও স্বাভাবিক পর্যায়ে আসছে না

আমদানির পেঁয়াজ বাজারে প্রভাব ফেলতে পারছে না

প্রকাশিত: ১১:২৩, ২৪ নভেম্বর ২০১৯

আমদানির পেঁয়াজ বাজারে প্রভাব ফেলতে পারছে না

মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম অফিস ॥ সমুদ্র পথের ন্যায় বর্তমানে আকাশ পথে জরুরী ভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানি হয়ে আসছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি চালান এসে পৌঁছেছে। এ ঘটনার পর আকাশচুম্বী হয়ে যাওয়ার পেঁয়াজের মূল্য কিছুটা হ্রাস পেলেও স্বাভাবিক পর্যায়ে আসছে না। এছাড়া আকাশ পথে যে পরিমাণ পেঁয়াজ প্রতিদিন আসছে তারচেয়ে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ মিয়ানমার থেকে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যাচ্ছে টেকনাফ স্থলবন্দর হয়ে। বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আকাশ পথে জরুরী ভিত্তিতে আমদানির পেঁয়াজ আসলেও তা পাইকারি বাজারে শনিবার পর্যন্ত প্রভাব ফেলতে পারেনি। উল্লেখ করা যেতে পারে, খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের পাইকারি বাজার থেকে দেশের সবকটি বাজার নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। আমদানির পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে, কিন্তু তা খুবই সীমিত। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণকারী চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের বাজারে এখনও দাম ওঠানামা করছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের পেঁয়াজে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। শনিবারও তা অব্যাহত ছিল। এদিকে, স্থলপথে টেকনাফ হয়ে শনিবার খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজরে প্রায় ৬৮০ টন পেঁয়াজ আসলেও তা নিমেশেই বিক্রি হয়ে যায়। তবে মূল্য ছিল বাড়তি। খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তদারদের সূত্রে জানানো হয়েছে, গেল সপ্তাহে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ছিল কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। আর গত বৃহস্পতিবার থেকে তা বেড়ে গিয়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় উন্নীত হয়েছে। মিশর ও তুরস্কের পেঁয়াজ গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা। সেটি বেড়ে ১০০ ও ১১০ টাকায় উন্নীত হয়েছে। চীনের পেঁয়াজ ছিল ৮০ টাকা, তা বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা। এভাবে সব ধরনের পেঁয়াজ কেজিতে ন্যূনতম ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যাপারে খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ব্যাপকভাবে কম থাকায় পেঁয়াজের দাম কমছে না। আকাশ পথে পাকিস্তান ও মিসরের পেঁয়াজের চালান আসার প্রসঙ্গ তুলে ধরা হলে তিনি জানান, যে পরিমাণ পেঁয়াজ আকাশ পথে এ পর্যন্ত এসেছে, অনুরূপ পেঁয়াজ প্রতিদিন খাতুনগঞ্জের বাজারে টেকনাফ থেকে ট্রাকযোগে এসে থাকে। কখনও কখনও পরিমাণ বেশিও আসছে। কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় তা যোগান দেয়া যাচ্ছে না। এছাড়া অনেক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী প্রশাসনের আতঙ্কে পেঁয়াজ বিক্রি থেকে বিরত রয়েছেন। কেননা, বিদেশী পেঁয়াজ এনে বর্তমানে যে মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে সেটা প্রশাসন মানছে না। আর যেটা প্রশাসন নির্দেশ দিচ্ছে তাতে ব্যবসায়ীদের লোকসান দিচ্ছে। এছাড়া বিরত থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই।
×