ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুলে ফারজানার শিক্ষা জীবন শেষ

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

  স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুলে ফারজানার শিক্ষা জীবন শেষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ২২ নবেম্বর ॥ নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর এসএসসি ফরম পূরণ করতে গিয়ে ফারজানা আক্তার জানতে পারল সে জেএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে এখন অনিশ্চিত জীবনের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে ফারজানা। এ বছর ফারজানার মির্জাপুর উপজেলার গেড়ামারা-গোহাইল বাড়ি সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। সে উপজেলার চান্দুলিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে। বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষার্থী এ বিষয়ে বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল মালেক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, ফারজানা আক্তার ২০১৭ সালে গেড়ামারা-গোহাইলবাড়ী সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফল প্রকাশের পর বিদ্যালয় থেকে পাসের খবর জেনে ফারজানা ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর মানবিক শাখায় ভর্তি হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নবম শ্রেণীতে তাকে নিবন্ধন করায় এবং বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দশম শ্রেণীতে ভর্তি হয়। দশম শ্রেণীতে তার ক্লাস রোল ৩০। গত ১৫ অক্টোবর থেকে নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হলে তাকে ১৪ অক্টোবর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষরিত প্রবেশপত্র দেয়া হয়। নির্বাচনী পরীক্ষায় ফারজানা সকল বিষয়ে উত্তীর্ণও হয়। এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হলে তার কাছ থেকে ফরম পূরণ বাবদ ৪ হাজার ২৫০ টাকা নেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । কিন্তু জেএসসি পরীক্ষায় সে ফেল করেছে এ কথা বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দু’দিন পরে তাকে টাকা ফেরত দেয়। এতে ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন ফারজানা যদি জেএসসি পরীক্ষায় ফেল করে থাকে তাহলে কীভাবে তাকে নবম শ্রেণীতে ভর্তি করা হলো। এই ভুলের খেসারত এখন কে দেবে? এ প্রশ্ন এখন সবার। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফারজানা নামে দশম শ্রেণীতে কামারপাড়া গ্রামের এক ছাত্রী রয়েছে। সে ওই ফারজানার রোল নম্বর দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে বলে দাবি করেন। মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×