ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ছেলেকে চাকরিতে পুনর্বহাল দাবিতে অনশনরত মুক্তিযোদ্ধা বাবা অসুস্থ

প্রকাশিত: ১১:১২, ২২ নভেম্বর ২০১৯

ছেলেকে চাকরিতে পুনর্বহাল দাবিতে অনশনরত মুক্তিযোদ্ধা বাবা অসুস্থ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ছেলেকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবারও আমরণ অনশন অব্যাহত রেখেছেন নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা বাবা রঙ্গলাল মহন্ত। তিনদিন ধরে অনশন করায় শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মুক্তিযোদ্ধা রঙ্গলাল। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। গত মঙ্গলবার সকাল হতে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে রংপুরে এসে বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন। মুক্তিযোদ্ধা বাবা রঙ্গলাল মহন্ত ছেলের চাকরি ফিরিয়ে না দিলে মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্যসহ বেঁচে থাকাকালীন সকল রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। নীলফামারী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডিপুটি কমান্ডার কান্তি ভূষণ কু-ু জানান, তিনদিন ধরে অনশনে থাকার কারণে মুক্তিযোদ্ধা রঙ্গলাল মহন্ত দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তিনি অভিযোগ তুলে বলেন যারা দেশ স্বাধীন করেছে সেই মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সামান্য ভুলের কারণে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। এর ভেতরে বাসা বেঁধেছে জঙ্গী জামায়াত শিবির। সুষ্ঠু তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে মূল ঘটনা। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা রঙ্গলাল মহন্তের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী বলেন, তার বড় ছেলে সাধন চন্দ্র মহন্ত পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। সে নোট পরীক্ষক হিসেবে সাত বছর ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রংপুর শাখায় কর্মরত ছিল। কিন্তু টাকা গণনার সময় গড়মিলের মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সহ ছেলের চাকরি ফেরতের দাবিতে পরিবারের সদস্যরা আমরণ অনশন শুরু করেছে। তিনি জানান, তাদের ছেলে সাধন চন্দ্র বাংলাদেশ ব্যাংক, রংপুর কার্যালয়ে মুদ্রা ও নোট পরীক্ষক পদে ৭ বছর ধরে চাকরি করতেন। সম্প্রতি নোট গণনাকালে একটি বান্ডিলে ৫০ টাকার একটি নোট এবং ৫শ’ টাকার বান্ডিলে দুটো নোট কম পাওয়া যায়। এতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে চাকরিচ্যুত করা হয়। তিনি বলেন, আমার ছেলে প্রথম গণনাকারী। দ্বিতীয় গণনাকারী গণনার পর চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়। প্রথম গণনাকারী হিসেবে আমার ছেলের ভুল হতে পারে। অথচ প্রথম গণনাকারী হিসেবে আমার ছেলেকে দোষী সাব্যস্ত করে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে যা সম্পূর্ণ বেআইনী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফজলার রহমানকে সবাই জঙ্গী বলে জানে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে সে আমার ছেলেকে ইচ্ছাকৃতভাবে দোষী সাব্যস্ত করেছে। নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।
×