ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১১:০৫, ২২ নভেম্বর ২০১৯

উবাচ

টিকেট! স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হওয়ার পর মাহমুদুর রহমান মান্না ফের ভোটের দাবি করেন। গতবারের মতোই এবারও তিনি আশা করছেন ভোট হলে তাকে ঠেকিয়ে রাখা কঠিন হবে। এজন্য বেহেশতের টিকেট বিক্রি না করে ভোটের টিকেট বিক্রি করতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পরিকল্পনামন্ত্রীর এক মন্তব্যের জবাবে তার নাম উল্লেখ না করে মান্না বলেছেন, দেশের এক মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এত সওয়াব কামাই করেছেন, উনি যে বেহেশতে যাবেন এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। এতে মান্নার মন্তব্য বোঝেন, মন্ত্রীরা আজকাল বেহেশতের টিকেট বেচা শুরু করেছেন। আমি বলি, বেহেশতের টিকেটের যদি গ্যারান্টি থাকে, তাহলে ভোটের টিকেটের গ্যারান্টি পাবেন না কেন? বেহেশতে যদি যেতে পারেন, তাহলে ভোটের পুলসিরাত পার হতে পারবেন না কেন? এমন প্রশ্নে মান্নাকে যদি কেউ পাল্টা প্রশ্ন করেন আপনি তো দেশের সব থেকে ভাগ্যবান মানুষ, দেশের বড় দুই দল তাদের প্রতীক দিয়ে বার বার চেষ্টা করেও আপনাকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করতে পারেনি। আপনি ভোটের পুলসিরাত পার হতে পারেননি। নতুন করে আর কোন সুবিধা দিলে ও কি পেরোতে পারবেন? নিরপেক্ষ তদন্ত স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হবেন আর মাথা ঠিক থাকবে এমনটা আশা করা কি ঠিক? মরহুম প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ সকালে একটা বলতেন তো বিকেলে আরেকটা। শেষমেশ সবাই বলত মাথা গেছে তাই আবোল তাবোল বলছে। এরশাদের ছোট ভাই জিএম কাদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর সবাই চিন্তা করেছিল যাক আবোল তাবোল আর শুনতে হবে না। তিনি আবোল তাবোল বলেন না এই সুনাম তার বরাবর ছিল। কিন্তু তিনি যদি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হন তাহলে বিষয়টি ভিন্ন। তিনি চেয়ারম্যানের আসনে বসে তার বড় ভাই চেয়ারম্যান থাকার সময় যা করেছেন তাই করবেন এটা স্বাভাবিক। সম্প্রতি তিনি বিদিশার সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন, এই সংঘাত এরশাদের সঙ্গেও ছিল। আবার বলেছেন, আমি কিছু করিনি। এরশাদও বলতেন কি হচ্ছে এসব আমি কিছু জানি না। সে যাই হোক এটা তাদের পারিবারিক ইস্যু। কিন্তু তিনি যখন বলেন, নূর হোসেন ও ডাঃ মিলনকে কারা হত্যা করেছে, কেন হত্যা করেছে এবং কিভাবে হত্যা করেছে, তা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। তিনি নূর হোসেন ও ডাঃ মিলন হত্যার প্রকৃত খুনীদের বিচার দাবি করে বলেন, নূর হোসেন ও মিলন হত্যার ইস্যু তুলে দেশের মানুষকে বারবার বিভ্রান্ত করা হয়। আমাদের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে অপবাদ দেয়া হয়। এর একটা সমাধান জরুরী হয়ে পড়েছে। জাতীয় পার্টি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে নূর হোসেন ও মিলনসহ ষড়যন্ত্রমূলক সব হত্যার বিচার করা হবে। এই বক্তব্যের পর তিনি সত্যি সত্যিই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেই মনে হওয়াটা স্বাভাবিক। পেঁয়াজের মালা! স্টাফ রিপোর্টার ॥ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, খাওয়ার বদলে মানুষ পেঁয়াজ দিয়ে গলার মালা বানাচ্ছে। পেঁয়াজের জন্য দেশের ১৮ কোটি মানুষ আর্তনাদ করছে। যদিও এই বক্তব্য দেয়ার সময় কর্নেল অলির গলায় কোন পেঁয়াজের মালা ছিল না। এমনকি দেশের কোথাও কেউ এই মূল্যবান পেঁয়াজ দিয়ে মালা বানানোর চিন্তা করেছেন কি না জানা যায়নি। তবে ফেসবুকে খানদানি বংশের পেঁয়াজ ব্যবহার নিয়ে একটি ব্যঙ্গ চিত্র বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। কর্নেল অলি হয়ত সেই চিত্রই দেখেছেন। তবে পেঁয়াজের সঙ্কট পেঁয়াজ ফলিয়ে সমাধান করার চেয়ে ভোটের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করতে আগ্রহী বেশি। তিনি মনে করেছেন ভোটে যদি তাদের কেউ ক্ষমতায় বসিয়ে দিতো তাহলে মানুষের পেঁয়াজের কোন সঙ্কট থাকত না।
×