ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কয়েন কার জন্য!

প্রকাশিত: ১১:০৩, ২২ নভেম্বর ২০১৯

কয়েন কার জন্য!

রহিম শেখ ॥ ধাতব মুদ্রা বা কয়েন। পরিমাণে বেশি দিলে নিতে আগ্রহী নন কেউ। বিয়ষটি নিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। দেশে বর্তমানে ধাতব মুদ্রা চালু আছে ১, ৫, ১০, ২৫ ও ৫০ পয়সার। এছাড়া ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার ধাতব মুদ্রাও আছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব কয়েন অচল না হলেও সরকারী-বেসরকারী কোন ব্যাংকই তা নিচ্ছে না। অলিখিতভাবে ব্যাংকগুলোতে নিষিদ্ধ হয়ে পড়ায় কোটি কোটি টাকার মুদ্রা অলস পড়ে থাকছে ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের কাছে। এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। এদিকে হাটবাজারে দোকানিরাও কেনাবেচায় কয়েন নিতে অনীহা দেখানোয় বিপাকে সাধারণ মানুষ। ফলে প্রশ্ন উঠছে ‘এই কয়েন কাদের জন্য’? জানা গেছে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কিছুদিন পাকিস্তানী মুদ্রায় লেনদেন হয়েছে। বাংলাদেশ কয়েনেজ অর্ডার, ১৯৭২ হওয়ার পরের বছর ১৯৭৩ সাল থেকে বিভিন্ন মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা ছাড়তে শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব মুদ্রার গায়ে তখন বাংলাদেশের ভবিষ্যত স্বপ্নের কথাও লেখা থাকত। যেমন এক টাকার মুদ্রার গায়ে লেখা ছিল পরিবার পরিকল্পনার স্লোগান। দুই সন্তানসহ চার সদস্যের ছবি যা সুখী পরিবারের প্রতিচ্ছবি। আবার অর্থনীতির প্রাণ বোঝাতে কোন মুদ্রায় থাকত কৃষকের লাঙ্গল আর কারখানার চাকার ছবি। আবার কোন কোন পয়সার গায়ে ছিল গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করার প্রতীক। ছিল কবুতর, মাছ, মুরগি, ডিম, আনারস আর কলার মতো পুষ্টিকর খাদ্য পণ্যের ছবিও। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাতব মুদ্রা হিসেবে ৫ পয়সা ও ১০ পয়সা চালু হয় ১৯৭৩ সালে। ১ পয়সার মুদ্রা চালু হয় তারপরের বছর, ১৯৭৪ সালে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম মূল্যমানের এবং সবচেয়ে ছোট আকৃতির ধাতব মুদ্রা এই ১ পয়সা। এ্যালুমিনিয়ামের তৈরি গোলাকার এই মুদ্রায় ছিল জাতীয় ফুল শাপলা। আর ৫ পয়সার মুদ্রাটি ছিল চার কোনাবিশিষ্ট এ্যালুমিনিয়ামের। এর এক পাশে লাঙ্গল ও চাকা এবং অন্য পাশে ছিল শাপলা ফুলের ছবি। ১০ পয়সার মুদ্রাটি করা হয় আট কোনাবিশিষ্ট। এর এক পাশে ছিল পান পাতা এবং অন্য পাশে শাপলা ফুল। ২৫ ও ৫০ পয়সার মুদ্রায় ছিল রুই মাছ, জাতীয় ফুল শাপলা, মাছ, কলা, ডিম, লাউ ও বেঙ্গল টাইগার। পরে ইলিশ মাছ, মুরগি, কলা ও আনারসের ছবিও দেয়া হয়। পয়সার পাশাপাশি ১, ২ ও ৫ টাকার মুদ্রাও চালু করা হয়। ১ পয়সা থেকে ২ টাকা পর্যন্ত মুদ্রাগুলো এতদিন সরকারী মুদ্রা হিসেবে প্রচলিত ছিল। আইন সংশোধন করে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি ৫ টাকাকেও সরকারী মুদ্রা ঘোষণা করে সরকার। বিশ্বজুড়েই ব্যাংক মুদ্রা ও সরকারী মুদ্রা এ দুই আকারে মুদ্রা চালু থাকে। বাংলাদেশেও তাই রয়েছে। ব্যাংক নোট বা ব্যাংক মুদ্রার মধ্যে বর্তমানে বাজারে রয়েছে ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট। এগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক বের করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যমানের কাগজে নোট ও ধাতব মুদ্রা রয়েছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই পাঁচ শ’ ও এক হাজার টাকার কাগুজে নোট। বাকিগুলো ১০০ টাকা, ৫০ টাকা, ২০ টাকা ও ১০ টাকার কাগুজে নোট। এছাড়া এই হিসাবের মধ্যে রয়েছে পাঁচ টাকা, দুই টাকা ও এক টাকার কাগজে নোট ও ধাতব মুদ্রা। এমনকি ৫০ পয়সা, ২৫ পয়সা, ১০ পয়সা, ৫ পয়সা ও ১ পয়সার মুদ্রার হিসাবও এর মধ্যে রয়েছে। তবে ঠিক কি পরিমাণ ধাতব মুদ্রা বা কয়েন বাজারে আছে সে পরিসংখ্যান দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জানা যায়, দেশের বাজারে এখন ১, ২ ও ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা বা কয়েনই বেশি চলে। এগুলোর আবার কাগুজে নোটও আছে। কিন্তু কয়েন লেনদেনে প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। কয়েনের বদলে কাগুজে নোট ব্যবহারে আগ্রহ কিছুটা বেশি। অনেকে বলছেন, পকেটে বা টাকা রাখার ব্যাগে কয়েন রাখতে সমস্যা হয় বলেই আগ্রহ কমেছে। অনেকে আবার ব্যাংকগুলোকেও দায়ী করছেন। একটি বেসরকারী কলেজের শিক্ষক ফরহাদ আহমেদ। কয়েন নিয়ে দুর্ভোগে পড়ার কথা জানালেন তিনি। তার অভিযোগ, প্রায় সময়ই রিক্সাচালকেরা ভাড়া হিসেবে কয়েন নিতে চান না। ফরহাদ বলেন, ‘এ জন্য প্রায়ই খুচরা ভাড়া নিয়ে ঝগড়া লেগে যায়। অনেকেই কয়েন নিতে চায় না। আবার ব্যাগে রাখতেও ঝামেলা। এখন তাই আমিও লেনদেনের সময় কয়েন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। দেব না, নেবও না।’ কয়েন জমে চা ও পান-সিগারেটের দোকানেও। তবে মিরপুর-১০ এর চায়ের দোকানদার শফিকুল ইসলাম বলেন, ছোট ব্যবসা হওয়ায় তাদের বেশি কয়েন জমে না। যা জমে, সেগুলো ক্রেতাদেরই আবার ফেরত দেন। কিন্তু পাইকারি বিক্রেতা বা মহাজনদের কাছে কয়েন দিয়ে পণ্য কেনা কঠিন। ঢাকার পান্থপথ রোডের মুদি দোকান চালান হাবিব রহমান। তিনি বলেন, গত এক মাসে কয়েক হাজার টাকার কয়েন জমেছে তার। কিন্তু একদিকে যেমন খদ্দের নিতে চায় না, অন্যদিকে কয়েন বদলে কাগুজে নোট দিতে ব্যাংকের কর্মকর্তাদেরও অনীহা আছে। হাবিব বলেন, ‘আমার দোকানে এক, দুই ও পাঁচ টাকার অনেক জিনিস আছে। এগুলো বিক্রি করতে গিয়েই কয়েন জমে। কিন্তু ব্যাংকে বদলাতে গেলে সহজে নিতে চায় না।’ বেসরকারী চাকরিজীবী মোঃ ফারুক আহমেদ। বৃহস্পতিবার ফার্মগেট থেকে মতিঝিল যাওয়ার পথে বাসে উঠে চালকের সহকারীর হাতে পাঁচ টাকার দুটি কয়েন ভাড়া হিসেবে তুলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে তা ফিরিয়ে দেন ওই সহকারী। তিনি কয়েন নিতে চান না, এর বদলে দিতে হবে কাগুজে নোট। চালকের ওই সহকারীর নাম মোঃ রইস মিয়া। কেন কয়েন নেবেন না, জিজ্ঞেস করতেই নিজের প্যান্টের পকেট থেকে একমুঠো কয়েন বের করে রইস বলেন, ‘কয়েন দিয়া কি করমু? আইজকা সকাল থেইকা এইগুলা জমছে। যাত্রীরাই দিছে, কিন্তু নিতে চায় না।’ তিনি আরও বলেন, বাসে ভিড়ের মধ্যে এত কয়েন নিয়ে চলাফেরা করা ঝামেলা, রাখার জায়গা থাকে না। মিরপুর-৬ নম্বর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন প্রতিদিন দোকানে বিক্রি শেষে মাটির ব্যাংকে ৫ টাকার মুদ্রা ফেলে জমা করেছেন ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। ব্যাংকটি ভাঙ্গার পর এই টাকা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তিনি। জনকণ্ঠকে জানালেন, ‘প্রথমে কয়েকটি ব্যাংকে নিয়ে গেলে ফিরিয়ে দেয়া হয়। পরে খাদ্য পণ্য কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের দিলেও তারা নেয়নি। এত কয়েন আমি কি করব?’ মিরপুর-১৩ নম্বর সেকশনের বাসিন্দা সালেহা বেগম তার মাটির ব্যাংকে জমানো ৫শ’ টাকার কয়েন নিয়ে সংশ্লিষ্ট ডেসকো অফিসের ব্র্যাক ব্যাংকের বুথে যান বিদ্যুত বিল পরিশোধ করতে। ব্র্যাক ব্যাংক ওই কয়েন না নিয়ে তাকে নোট নিয়ে আসতে বলেন। সালেহা জানান, ব্যাংকের আচরণ দেখে মনে হয় সরকার ধাতব মুদ্রা কয়েন ও ছোট মানের টাকা অচল করে দিয়েছে। শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, এই কয়েন নিয়ে বিপাকে আছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। রাজধানী ঢাকার কাছেই নরসিংদীর বেকারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সরকার বলছেন, কয়েক মাস ধরেই ব্যাংকগুলো কয়েন গ্রহণ না করায় সেখানকার শতাধিক বেকারি মালিকের কাছে জমে গেছে দুই কোটি টাকারও বেশি মূল্যমানের কয়েন। তিনি জানান, এক টাকা, দু’টাকা ও পাঁচ টাকার এসব জমে থাকা কয়েন ব্যাংক না নেয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত দশটি ক্ষুদ্র বেকারি, এ নিয়ে কয়েকটি সমাবেশও হয়েছে সেখানে। তিনি বলেন, আমরা ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে তিন চার সপ্তাহ ধরে ঘুরছি। একবার বলে কয়েন গোনার মতো সময় ও লোক নেই। আবার বলে ভল্ট নেই। প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী এরশাদ আলী। তিনি বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে জনকণ্ঠকে বলেন, পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে কম দামে স্থানীয় বাজারে তিনি কয়েন বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন শুধু ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্যে। ধাতব মুদ্রা, নিম্ন মূল্যমানের নোট ও ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময়ের ক্ষেত্রে জনসাধারণ বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। এ ধরনের কার্যক্রম তাদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক লেনদেনে বিঘœ সৃষ্টি করছে। তবে গ্রাহকদের কাছ থেকে তফসিলী ব্যাংকের কয়েন নেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় প্রতিবছরই বিজ্ঞপ্তি ও নির্দেশনা দিয়ে থাকে। এসব নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তফসিলী ব্যাংকের শাখাগুলোকে গ্রাহকদের কাছে থেকে ১, ২ এবং ৫ টাকা মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা ও কাগুজে নোট গ্রহণ এবং স্বাভাবিক লেনদেনের স্বার্থে প্রতিটি শাখায় প্রতিটির ন্যূনতম ১০,০০০ পিস করে সংরক্ষণ করতে হবে। তবে স্থানীয় কার্যালয় ও অন্যান্য বড় শাখাকে বর্ণিত সংখ্যার তিনগুণ অর্থাৎ প্রতিটি মূল্যমানের ৩০,০০০ পিস করে ধাতব মুদ্রা সংরক্ষণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক নির্ধারিত পরিমাণের অতিরিক্ত ধাতব মুদ্রা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে নিশ্চিত হতে হবে যে, সব শাখায় তাদের জন্য নির্ধারিত পরিমাণ ধাতব মুদ্রা সংরক্ষিত আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ধাতব মুদ্রা জমাদানের প্রয়োজন হলে ব্যাংক শাখাগুলো শক্ত মোটা কাপড়ের ব্যাগ বা থলে ব্যবহার করবে। প্রতিটি ব্যাগ বা থলেতে মূল্যমান নির্বিশেষে ১,০০০ পিস করে ধাতব মুদ্রা রেখে ব্যাগ/থলের মুখ সিলগালা করে অথবা সিকিউরিটি ট্যাগ দ্বারা বন্ধ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা প্রদান করতে হবে। একই ব্যাগ বা থলেতে একাধিক মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা রাখা যাবে না। ব্যাংকের নিজস্ব ফ্লাই লিফ পূরণ করে তা আঠার সাহায্যে ব্যাগের গায়ে লাগিয়ে দিতে হবে। এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা হলেও বেশিরভাগ শাখা তা মানছে না। কিন্তু কেন ব্যাংকগুলো কয়েন নিতে চায় না? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কয়েন নেয়ার ব্যাপারে গ্রাহকদের আগ্রহ কম। ধরুন কেউ ব্যাংক থেকে এক লাখ টাকা তুলছেন, তাকে যদি এক হাজার টাকা কয়েনে নিতে বলি, তিনি রাজি হন না। যেহেতু গ্রাহকদের মধ্যে আমরা চালাতে পারি না, তাই নিতেও চাই না।’ একটি বেসরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা জানালেন ভল্টে জায়গা না থাকার কথা। প্রতিষ্ঠানের বিধিনিষেধের কারণে নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি তিনিও। তার কথায়, ‘কয়েন ব্যাগে ভরে রাখতে হয়। এতে ভল্টের অনেক জায়গা চলে যায়। গ্রাহকদের দিয়েই কয়েন চালাতে হয়। কিন্তু গ্রাহকেরা না নিলে, আমরা এত কয়েন কোথায় রাখব?’ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, ‘প্রয়োজন ও চাহিদা এ দুটির ওপর নির্ভর করবে এর সমাধান। চলে আসছে, সে জন্য এটি চলছে। আগে মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো হতো। এখন টাকা জমানোর আরও অনেক বিকল্প এসেছে। ব্যবহারকারী বা গ্রাহকের সুবিধা ও চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, যে কোন মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা বা নোট না নেয়ার সুযোগ ব্যাংকের নেই। জনসাধারণও এ ধরনের মুদ্রা নিতে বাধ্য। তবে এক, দুই ও পাঁচ টাকা মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা ও কিছু ক্ষেত্রে এসব মানের নোট কিছু ব্যাংক না নেয়ার অভিযোগ তারাও পাচ্ছেন। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে ডেকে বা টেলিফোনে সতর্ক করা হচ্ছে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এ বিষয়ে অবহিত করা হচ্ছে। এরপরও কোন ব্যাংক না নিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×