ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এবার বুলবুলের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার লড়াই

প্রকাশিত: ০৯:২২, ২২ নভেম্বর ২০১৯

এবার বুলবুলের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার লড়াই

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী, ২১ নবেম্বর ॥ দশ শতক জমির নষ্ট হওয়া সবজির ক্ষেতে ফের ফুলকপির চারা রোপণের কাজ করছিলেন চাষী হাফিজুর। জানালেন, কুমিরমারা গ্রামের পাঁচ শতক জমি একসনা ভিত্তিতে এবং আমিরাবাদ গ্রামে ৪২ শতক জমিতে সবজির আবাদ করেছিলেন। এখন সব শেষ। বীজ, চাষাবাদ নিয়ে অন্তত ১৫ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। এখন বেগুন, লাউ, মুলা ও ধনে পাতা বাজারে বিক্রি করতে পারতেন। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে সব শেষ। ফের কোমর বেঁধে ক্ষেত তৈরির কাজ করছেন এ চাষী। কামলা, বীজ নিয়ে ফের এ চাষীর কুড়ি হাজার টাকা ধারদেনা করতে হয়েছে। মুলা লালশাক লাগানো তিন শতক জমি ফের তৈরি করছিলেন আব্দুল বারেক হাওলাদার। আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার নষ্ট হওয়া দুই বিঘা জমিতে আবার সবজি আবাদের জন্য মই দিচ্ছিলেন। জানালেন লালশাক, পালংশাক, ফুলকপি সব নষ্ট হয়ে গেছে। রোদের মধ্যে একজনে মইতে বসে অপর দুইজনে টানছিলেন। ক্ষতির যেন সীমা নেই বলে জানালেন এ চাষী। নষ্ট হওয়া চার বিঘার দুই বিঘা জমির সবজি ক্ষেত ফের কোদাল দিয়ে কুপিয়ে তৈরি করছিলেন নুর আলম হাওলাদার। জানালেন, এক দফা অন্তত ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন ফের ক্ষেত তৈরি করে চারা ও বীজ রোপণ করবেন। তিনজন কামলা নিয়ে তিন বিঘা জমিতে ফের সবজির আবাদে ব্যস্ত শাহজাহান মৃধা। জানালেন ধানের চেয়ে শাক-সবজিতে বেশি লাভ। তাই ১২ মাস সবজির আবাদ করেন। নষ্ট হওয়া ক্ষেত পুনরায় তৈরি করছেন ফোরকান হোসেন। জানালেন ফুলকপি পাতাকপি সব নষ্ট হয়ে গেছে। এভাবে কুমিরমারা গ্রামের অন্তত ৭৫ জন সবজি চাষী ফের লোকজন নিয়ে মাঠে কোমর বেঁধে কাজ করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মান্নান জানান, ক্ষয়-ক্ষতির প্রাথমিক তথ্য দেয়া হয়েছে। বিশেষ প্রণোদনার জন্য সরকারী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে দেয়া হবে। খাগড়াছড়িতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ॥ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী রবিউল ইসলামকে মৃত্যুদ- দিয়েছে আদালত। এসময় তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদ- প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ রেজা মোঃ আলমগীর হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৫ আগস্ট রাতে মহালছড়ি উপজেলার কেয়াংঘাট ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে স্ত্রী ময়না আক্তার(১৯)কে শ^াসরোধে হত্যা করে। পরে তার লাশ বাড়ির পেছনের পাহাড়ের খাদে ফেলে দেয়। এই ঘটনায় নিহত ময়নার বাবা মাইনুল হক ওরফে ময়নাল বাদী হয়ে মেয়ের জামাইসহ অজ্ঞাত ৪/৫জনকে আসামি করে মহালছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন।
×