ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিরিয়ার শরণার্থী শিশুদের জন্য আহলান সিমসিম

প্রকাশিত: ০৯:১০, ২২ নভেম্বর ২০১৯

সিরিয়ার শরণার্থী শিশুদের জন্য আহলান সিমসিম

সিরিয়ায় শরণার্থী শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে আরবি ভাষায় শিশুবিষয়ক টিভি অনুষ্ঠান আহলান সিমসিমের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ ‘আহলান সিমসিম’ নামে শিশুদের কাছে সবচেয়ে শিক্ষণীয় এই অনুষ্ঠান শরণার্থী ক্যাম্পে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করা হবে। সিরিয়ায় এ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তাদের অর্ধেকই শিশু। সিরিয়ায় যুদ্ধকালীন সময়ে কয়েক দশক ধরে অনেক পরিবার ফিরে আসতে না পারায় সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পরতে হয়েছে শিশুদের। অন্তত ৩০ লাখ শিশু জন্ম থেকে শুধু দেখছে, যুদ্ধের আতঙ্ক ও মৃত্যুর তাড়া ছাড়া জীবনে যেন আর কিছু নেই। এক সাক্ষাতকারে জার্মানির ফেডারেল সাইকোলজিক্যাল সেন্টারের চেয়ারম্যান বলেন, এই শিশুদের সারাজীবনই যুদ্ধাতঙ্কে কাটার আশঙ্কা। কেননা শরণার্থী শিশুদের শৈশবকাল কাটছে সহিংসতা এবং আনন্দহীন। চোখের সামনেই এই বাচ্চারা দেখতে পেয়েছে বাবা-মা, ভাই-বোনের মৃত্যু। ‘পরিবারগুলো একটু সুরক্ষার আশায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে, কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ এই শিশুগুলো পাচ্ছে না খেলার মাঠ, প্রাথমিক শিক্ষা এমনকি সাধারণ স্বাস্থ্যগত কোন শিক্ষা।’ ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির প্রধান নির্বাহী ডেভিড মিলিব্যান্ড বলেন, বিশ্বে শরণার্থী শিশু শিক্ষার হার ২ শতাংশেরও কম। যেখানে অধিকাংশ শিশুর বয়স গড়ে ২০ বছর হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আহলান সিমসিম’-সিরিয়ায় শরণার্থী শিশুদের জন্য একটি নতুন উদ্যেগ। যার ঘোষণা সিসিম ইন্ডাস্ট্রি ২০১৬ সালেই দিয়েছিলেন। এই দুই প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগের প্রশংসা স্বরূপ ২০১৭ সালে ম্যাক আর্থার ফাউন্ডেশন এ্যাওয়ার্ড লাভ করে। তাদের পরিকল্পনা ছিল সিসিম স্ট্রিটের অনুষ্ঠানটি এমন ভাষায় প্রচার করা হবে যাতে সিরিয়ার শিশুরা খুব সহজেই বুঝতে এবং শিখতে পারে। তাই আরবি ভাষায় এই অনুষ্ঠান প্রচারের পরিকল্পনা করেছেন প্রতিষ্ঠানটি। ‘আহলান সিমসিমের’ প্রধান দুই চরিত্রের মধ্যে রয়েছে ছোট ছেলে জ্যাড। তার প্রতিবেশী মুপ্যাট এবং বাসমা। মুপ্যাট এই চরিত্রে জ্যাডের বন্ধু থাকে। আরও আকর্ষণীয় করার জন্য একটা বাচ্চা ছাগল চরিত্র এখানে আনা হয়েছে। সিসিমের পুরো ঘটনাকে আরও ছন্দময় করার জন্য। মূলত মানবিক সঙ্কটে থাকা শিশুরা যেন শৈশবের শুরুর দিকেই খেলাধুলাভিত্তিক বিকাশ লাভ করতে পারে তা নিশ্চিত করাকে জরুরীভাবে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে মনে করেন সিসিম ওয়ার্কশপ এবং ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি। -গার্ডিয়ান
×