ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ডেমোক্র্যাট নমিনেশন বিতর্কে প্রাধান্য পাচ্ছে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ২২ নভেম্বর ২০১৯

ডেমোক্র্যাট নমিনেশন বিতর্কে প্রাধান্য পাচ্ছে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট

ডেমোক্র্যাটরা বুধবার রাতে পঞ্চম বিতর্কে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজয়ের চেষ্টার চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করেছেন ট্রাম্পকে অভিশংসনে তাদের দক্ষতা প্রমাণের ওপর। তারা কণ্ঠস্বরে মার্জিত থেকে বেশিরভাগ সময় সতর্ক থেকেছেন এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ফোরামের চেষ্টা ছিল বেশ কম। বিষয়টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই নতুন প্রতিযোগী ব্লুমবার্গ ও ডেভাল প্যাট্রিকের প্রতি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে হয়ত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিশংসন তদন্তের বিষয়টি বিতর্কের প্রাথমিক পর্যায়ে অনেকটা অক্সিজেন হিসেবে কাজ করেছে। ওয়েবসাইট। অভিশংসনের যেসব প্রশ্ন দেয়া দিয়েছে তা প্রেসিডেন্টের প্রতি নিন্দা প্রকাশে ঐকমত্যের ক্ষেত্রে বিভেদের সৃষ্টি করতেও পেরেছে খুব কম। প্রার্থীরা তাদের আলোচনায় ভারসাম্য রক্ষায় জোর চেষ্টা করেছেন। ইউক্রাইন কেলেঙ্কারির এ সময় ট্রাম্পের একজন বড় দাতা কী করে রাষ্ট্রদূত হতে পারেন সে ব্যাপারে বলেছেন ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন। তিনি পুরস্কার হিসেবে দাতাদের রাষ্ট্রদূতের পদ না দেয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। ট্রাম্প তার প্রার্থিতার প্রতি কতটা আশঙ্কায় রয়েছেন, তার পরিমাপ হিসেবে তদন্তকে উল্লেখের চেষ্টা করেছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ডেমোক্র্যাটদের কাছে অভিশংসন দুটি কারণে সম্ভাব্যরূপে ক্ষতিকর। প্রথমত, সিনেটের তদন্ত ফেব্রুয়ারিতে আগাম রাজ্য ভোটাভুটির আগে ওয়াশিংটনে বিষয়টির একটি শুভ দিককে ফাঁদে ফেলতে পারে। ট্রাম্প ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রতিযোগিতায় প্রবেশের পর থেকে ডেমোক্র্যাটদের জন্য উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ হয়েও দাঁড়িয়েছে। ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছেন, আমরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে নিঃশেষিত হতে পারি না। জলবায়ু সঙ্কট শেষ পর্যন্ত অন্তত মনোযোগ কেড়েছে। ডেমোক্র্যাটিক ভোটাররা এ বিষয়টিকে শীর্ষ উদ্বেগ বলে উল্লেখ করছেন। বুধবার রাতের এ বিতর্কে পরিবেশ আন্দোলনকারী ধনকুবের টম স্টেয়ার বাইডেনের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এক অপর্যাপ্ত, খ-িত উদ্যোগ নিতে চাইছেন। বাইডেন স্টেয়ারের পাল্টা সমালোচনা করে তাকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, তিনি ১৯৮০-এর দশকে সিনেটর হিসেবে জলবায়ু আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেন। অথচ স্টেয়ার সে সময় কয়লায় বিনিয়োগের মাধ্যমে আংশিক ভবিষ্যত গড়ে তোলেন। ইন্ডিয়ানার সাউথ ব্যান্ডের মেয়র পেটে বুটিগিগ কৃষকদের ওপর ট্রাম্প নীতির প্রভাবের ওপর প্রশ্ন তোলেন। বাইডেন তার উদার প্রতিদ্বন্দ্বীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, তাদের আদর্শ কংগ্রেসে পাস হবে না। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট তার প্রতিশ্রুতিকে বর্তমান এ্যাফোর্ডেবল কেয়ার এ্যাক্টকে একটি সরকারী বীমা পরিকল্পনায় রূপান্তর হিসেবে উল্লেখ করেন। বিতর্কে প্রার্থীদের মৌলিক উত্তেজনার ওপর গুরুত্ব প্রকাশ পায়। ডেমোক্র্যাট ভোটাররা স্বাস্থ্যসেবাকে তাদের শীর্ষ স্থানীয় নীতি বিষয়ক উদ্বেগ বলে শনাক্ত করেন।
×