ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে ঘুষ না দেয়ায় ফটো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলায় চার্জশীট

প্রকাশিত: ১১:৪২, ২০ নভেম্বর ২০১৯

রাজশাহীতে ঘুষ না দেয়ায় ফটো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলায় চার্জশীট

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বসতভিটা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাজশাহীর ফটো সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে মামলায় ঘুষ না দেয়ায় চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছেন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নগরীর রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিএম সেলিম রেজার বিরুদ্ধে ২০ হাজার টাকা না দেওয়ায় তদন্ত না করেই মামলাটিতে আসাদ ও তার পরিবারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার হুমায়ুন কবীরের কাছে লিখিতভাবে এমন অভিযোগ করেছেন আসাদ। তিনি ফটোজার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখার সভাপতি। তার দাবি, মামলাটি মিথ্যা। তিনি ঘুষ না দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেছিলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে যা পাবেন তাই দেবেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলেই যাননি। অভিযোগে বলা হয়েছে, নগরীর কাজিহাটা মৌজায় ছয় কাঠার পৈত্রিক ভিটায় আসাদ ও তার পরিবার প্রায় ৭০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। হঠাৎ ২০০২ সালে শহরের গণকপাড়া এলাকার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ নামের এক ব্যক্তি ভিটাটি তার নিজের বলে দাবি করে দখলে নিতে যান। জাহিদুল তার লোকজন নিয়ে গিয়ে আসাদের পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসাদের বাবা আশরাফ হোসেন ২০০২ সালে আদালতে মামলা করেন। জমিটি নিয়ে নি¤œ আদালত এবং উচ্চ আদালতে মামলা চলমান। তারপরেও জাহিদুল ইসলামের চাচাতো ভাই মেসবাহ উদ্দিন বিভিন্ন সময় তাদের ভিটায় গিয়ে উচ্ছেদের হুমকি দিতে থাকেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের হেনস্থা করতে চলতি বছরের ১০ জুন মেসবাহ উদ্দিন আদালতে একটি মামলা করেন। মামলায় আসাদ ও তার এক ভাই এবং চার বোনকে আসামি করা হয়। মামলায় ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করা হয়। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য রাজপাড়া থানায় পাঠান। এসআই সেলিম রেজা তদন্ত শুরু করেন। কিন্তু মামলায় ঘটনাস্থল হিসেবে যে স্থানের উল্লেখ করা হয়েছে সেখান না যাওয়ার কারণে আসাদ নিজেই থানায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন। তিনি তাকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করার জন্য অনুরোধ জানান। তখন তদন্ত কর্মকর্তা তাকে বলেন, আপনার এত চিন্তা করার দরকার নেই। আমাকে শুধু হাজার বিশেক টাকা দিয়ে যান, তাহলেই হবে। কিন্তু আসাদ টাকা দিতে পারেননি। তাই তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলেও যাননি। এরপর গত ৮ সেপ্টেম্বর তিনি আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে মামলায় যেসব অভিযোগ আনা হয় সে সবই তুলে ধরা হয়েছে।
×