স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মগবাজারে আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় আসমা বেগম (৩০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আদ-দ্বীন হাসপাতাল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়। মৃতের মামাতো ভাই মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, গত সাতদিন আগে আসমা জানতে পারেন তার পেটের ভেতর বাচ্চা মারা গেছে। তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন বরিশালের চিকিৎসকরা। পরামর্শ অনুযায়ী গত ১৭ নবেম্বর দুপুরের দিকে তাকে মগবাজারে আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি জানান, হাসপাতালে চিকিৎসকদের জানানো হয়, পেটে বাচ্চা মারা গেছে। সিজার করতে হবে। চিকিৎসকরা তাদের জানান, আগে দেখবে নরমালে বাচ্চা হয় কি না। পরে সিজার করবে। আসমার অবস্থা খারাপ হলে সোমবার রাত ৩টার দিকে তাকে লেবার ওয়ার্ড থেকে ওটিতে নেয়া হয়। সেখানে আসমা মৃত বাচ্চা প্রসব করলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। আসমার পরিবারের অভিযোগ, পেটে বাচ্চা মারা গেছে জেনেও তারা সিজার করেনি। আগে থেকে যদি সিজার করা হতো তাহলে আসমা মারা যেত না। মেহেদী জানান, আমরা এর বিচার চাই। রমনা থানায় অভিযোগ দিয়েছি। মৃত আসমার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে। তার স্বামী আরিফ হোসেন গ্রামে ব্যবসা করেন। আসমার ঘরে তিন মেয়ে রয়েছে। তিন মেয়ের পরে কয়েকবার গর্ভপাত হয়েছে তার। রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দুলাল চন্দ্র কুন্ড জানান, সন্তান প্রসবের সময় আসমা ও তার নবজাতক মেয়ের মৃত্যু হয়। পরিবার অভিযোগ করেছেন, ভুল চিকিৎসায় আসমার মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরের দিকে আদ-দ্বীন হাসপাতাল থেকে নবজাতকসহ তার মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এসআই দুলাল চন্দ্র জানান, আসমার লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে। তদন্ত চলছে।
