ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইউরো বাছাই ফুটবল, ইতালি ৯-১ আর্মেনিয়া, স্পেন ৫-০ রোমানিয়া

দশে দশ জয় নিয়ে মূলপর্বে ইতালি

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ২০ নভেম্বর ২০১৯

দশে দশ জয় নিয়ে মূলপর্বে ইতালি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জার্মানির সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি। অথচ দেশটির ফুটবলে কি দুর্দিনই না গেছে ২০১৮ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা হয়নি আজ্জুরিদের। কারণ বাছাইপর্বের গ-িই পেরোতে পারেনি তারা। সেই দলটিই এক বছরের মধ্যে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কোচ রবার্টো ম্যানচিনির অধীনে ইউরো বাছাইপর্বে ‘জে’ গ্রুপের ১০টি ম্যাচের প্রতিটিতেই জয় পেয়েছে ইতালি। অপ্রতিরোধ্য আজ্জুরিরা পালের্মোতে সোমবার রাতে শেষ ম্যাচে আলবেনিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছে ৯-১ গোলে। এর ফলে পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট নিয়ে ২০২০ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে খেলবে ইতালি। বোনুচ্চি, ইমোবিলেদের যে পারফর্মেন্স তাতে মূলপর্বে তাদের সব প্রতিপক্ষই সমীহ করে খেলবে এটা নিশ্চিত। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডকে পেছনে ফেলে ‘ডি’ গ্রুপের শীর্ষ দুই দল হিসেবে চূড়ান্তপর্ব নিশ্চিত করেছে ডেনমার্ক ও সুইজারল্যান্ড। সুইজারল্যান্ড ৬-১ গোলে জিব্রাল্টারকে হারিয়েছে। আর রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ডেনমার্ক। ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে স্পেন ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রোমানিয়াকে। দারুণ এই জয় দিয়ে গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে বাছাইপর্ব শেষ করেছে ২০০৮ (ইউরো জয়), ২০১০ (বিশ্বকাপ জয়) ও ২০১২ (ইউরো জয়) সালে ঐতিহাসিক ট্রেবলজয়ীরা। আগেই মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করা ইতালি শেষ ম্যাচটাতেও পেয়েছে দাপুটে জয়। শতভাগ জয় নিয়ে মূলপর্বে খেলবে আত্মবিশ্বাসী আজ্জুরিরা। এটি বাছাইপর্বের সব ম্যাচ জেতার প্রথম রেকর্ড তাদের। কোন ম্যাচে দেশটির সাতজনের গোল করার নজিরও এই প্রথম। একটুর জন্য সবধরনের ম্যাচে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়া হয়নি। ইতালিয়ান সিরি’এ লীগর শীর্ষ গোলদাতা সিরো ইমোবিলে ও নিকোলো জানিয়োলো করেছেন দুটি করে গোল। মাঝে নিকোলো বারেলা ও এলেসিও রোমাগনোলির সঙ্গে পেনাল্টি থেকে এক গোল করেছেন চেলসি মিডফিল্ডার জর্জিনহো। বদলি বেঞ্চ থেকে উঠে এসে অভিষিক্ত ম্যাচে গোল পেয়েছেন রিকার্ডো ওরসোলিনি। ৮-০ গোলে পিছিয়ে থাকা আর্মেনিয়ার হয়ে ৭৯ মিনিটে সান্ত¡নার একটি গোল করেন এডগার বাবাইয়ান। তবে ৮১ মিনিটে ফেডেরিকো চিয়েসা আজ্জুরিদের হয়ে শেষ গোলটি করলে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। এই জয়ে টানা ১১ ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে ইতালি। ১৯৪৮ সালে লন্ডন অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রকে ৯-০ গোলে পরাজিত করার পর এই প্রথম কোন দলের বিপক্ষে নয় গোল করেছে আজ্জুরিরা। ম্যাচ শেষে ইতালি কোচ রবার্টো ম্যানচিনি বলেন, ম্যাচে আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পেরেছি। হঠাৎ করেই কোন ম্যাচে ৯ গোল করা সম্ভব নয়। এ জন্য সঠিক কৌশলের প্রয়োজন হয়। এরপরও আমার মনে হয়েছে অনেক জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে। কিন্তু ফাইনালের জন্য দল চূড়ান্ত করতে গেলে সত্যিকার অর্থেই আমি সমস্যায় পড়ব। এখানে প্রত্যেকেই মূল দলে খেলার যোগ্যতা রাখে। রোমানিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে ‘এফ’ গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে বাছাইপর্বের মিশন শেষ করেছে স্পেন। মাদ্রিদের ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে স্পেনের হয়ে দুই গোল করেছেন জেরার্ড মোরোনো। এর আগে অষ্টম মিনিটে নেপোলি মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইজ স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন। বিরতির ঠিক আগে আদ্রিয়ান রুসের আত্মঘাতী গোলে ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। বিরতির পর ইনজুরি টাইমে রিয়াল সোসিয়েদাদ স্ট্রাইকার মিকেল ওইয়ারজাবাল স্পেনের হয়ে শেষ গোলটি করেন। ডাবলিনে ডেনমার্ককে হারাতে পারলেই মূলপর্বের টিকেট পেত আয়ারল্যান্ড। কিন্তু আভিভা স্টেডিয়ামে ডেনিশদের বিরুদ্ধে ১-১ গোলের ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় আইরিশদের। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে হেনরিক ডালসগার্ডের ক্রস থেকে মিক ম্যাককার্থির গোলে এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। ৮৫ মিনিটে ম্যাট ডোহার্টির গোলে অন্তত হার এড়ায় স্বাগতিকরা। গত জুনে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগের ম্যাচেও শেষ মুহূর্তের গোলে আয়ারল্যান্ড ১-১ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল। এর ফলে ১৯৯২ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ডেনমার্ক চূড়ান্তপর্বে ঘরের মাঠে খেলার অপেক্ষায় রয়েছে। পরবর্তী টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো ইউরোপের ১২টি ভিন্ন শহরে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে কোপেনহেগেন একটি।
×