ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, অন্যটির সুপার

দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বেতনভাতা তোলার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ২০ নভেম্বর ২০১৯

দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বেতনভাতা তোলার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ এএইচএম হাবিবুর রহমান একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও অপর একটি মাদ্রাসার সুপার। দুই প্রতিষ্ঠানের হাজিরা খাতায় আছে তার স্বাক্ষর। পৃথক দুই ব্যাংক থেকে টানা ৭ মাসের বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেছেন তিনি। অবশ্য একটি প্রতিষ্ঠানের বেতন ফেরত দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। এদিকে নাশকতা মামলায় হাজতবাসের দিনগুলো ভুয়া মেডিক্যাল দেখিয়ে ছুটি ভোগ করেছেন। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে এলাকাবাসী লিখিত আবেদন দিয়েছেন। যশোর সদর উপজেলার সিরাজসিংগা দাখিল মাদ্রাসার সুপার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালের ১৯ নবেম্বর মনিরামপুর উপজেলার টুনিয়াঘরা মহিলা আলিম মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। এরপরও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে ম্যানেজ করে পূর্বের কর্মস্থলে গোপনে হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করতেন। পূর্বের কর্মস্থল যশোর সদর উপজেলায় হওয়ায় রূপালী ব্যাংক যশোর শাখা টি-২১৪১৪২৮ সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর থেকে প্রায় ২ লাখ ১১ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। নতুন কর্মস্থলে অধ্যক্ষ পদের বিপরীতে চলতি বছরের জুলাই মাসের এমপিওতে (মান্থলি পে অর্ডার) বকেয়াসহ ৩ লাখ ২৪ হাজার ৫৬৪ টাকা রূপালী ব্যাংক মনিরামপুর শাখার টি-৪৭০৬ সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর থেকে উত্তোলন করেন। এছাড়া ২০১৮ সালের ১১ নবেম্বর মনিরামপুর থানায় অধ্যক্ষ এএইচএম হাবিবুরের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা হয়। ওই মামলায় তিনি ৩৫ নম্বর আসামি। মামলায় একবার আটক হন এবং চলতি বছরের ২০ আগস্ট নিজেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে ১১ দিন হাজতবাস করেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে হাজতবাসের দিনগুলো অধ্যক্ষ ভুয়া মেডিক্যাল নিয়ে ছুটি ভোগ করেছেন। অধ্যক্ষ এএইচএম হাবিবুর মোবাইল ফোনে জানান, উত্তোলনকৃত অতিরিক্ত অর্থ চলতি মাসের ৫ তারিখে সরকারী কোষাগারে জমা দিয়েছেন। নাশকতা মামলায় হাজতবাসের কথা জানতে চাইলে এখন কথা বলার সময় নেই বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পূর্বের কর্মস্থলের সভাপতি আব্দুল লতিফ জানান, অন্যত্র যোগদানের পর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেয়া ভুল ছিল। বর্তমান কর্মস্থলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মোড়ল বলেন, দুই প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা উত্তোলন করলেও পরে তিনি নিয়মানুযায়ী পরিশোধ করেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, এমন দুর্নীতি হয়ে থাকলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×