ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

২০২৩ সালের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদা ওয়াশব্লক তৈরি করবে সরকার : এলজিআরডি মন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

২০২৩ সালের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদা ওয়াশব্লক তৈরি করবে সরকার :  এলজিআরডি মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদ্যালয়গামী ছাত্রছাত্রীরা দিনে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা বিদ্যালয়ে অবস্থান করে তাই সরকার আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলে মেয়েদের জন্য আলাদা ওয়াশ ব্লক তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। একইসাথে টয়লেট সমস্যাসহ জাতীয় ইস্যুর ন্যয় সমাজে চলমান হাজারো সমস্যা সমাধানে সরকারের কয়েকটি বিভাগ একসাথে কাজ করছে তবে দ্রুত সমাধানের জন্য সমাজের সকল স্তরের নাগরিকদেও অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পুলিশ স্টাফ কলেজ মাঠে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, ইউনিলিভারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কেদার লেলে, ওয়াটার এইডের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ইমরুল কায়েস মনিরুজ্জামান,টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিকেটর আমান সাদিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন টয়লেট নিশ্চিত করতে আমরা সফল হবো। আমরা অনেক সমস্যা মোকাবিলা করেছি। পরিষ্কার-পরিছন্নতা ও টয়লেটের যে সমস্যা ছিল তা অনেকাংশে লাঘব হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, সবাই মিলে আমরা জাতীয় ইস্যুর সমস্যা সমাধান করতে পারি। সমাজে হাজারো ইস্যু রয়েছে। হাজারো সমস্যা সমাধানে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন। তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি পরিবার থেকে স্কুল-কলেজে ছেলে-মেয়ে পড়তে আসে। ছেলে-মেয়েরা যদি বোঝে তাদের টয়লেট ইন হাইজেনিক বা অপরিষ্কার হলে তাদের সমস্যা হবে। এ বিষয়গুলোতে তাদের সচেতন করতে পারবেন শিক্ষকরা। শুধুমাত্র পরিষ্কার টয়লেটের মধ্যে থাকলে কী হবে? একজন সত্যিকারের মানুষ হিসেবে যেসব বিষয়ের প্রয়োজনীয়তা আছে তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দ্বারা বোঝানো সম্ভব। ছাত্র-ছাত্রীদের টয়লেট পরিষ্কার রাখতে হবে। নিজেদের ক্যাম্পাস পরিষ্কারের পাশাপাশি নিজেকেও পরিষ্কার রাখতে হবে। তাজুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৭ সালে সাউথ কোরিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ ছিল। তখন কোরিয়ার সরকার জনগণের কাছে আহ্বান করেছিল সাহায্যের জন্য। সে সময় একটি মেয়ে তার বিয়ের বালা ও এনগেজমেন্টের রিং ব্যাংকে জমা দিচ্ছিলেন। তখন একজন সাংবাদিক মেয়েটিকে প্রশ্ন করেছিলেন, এ বালা আর রিংয়ের সঙ্গে আপনার আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। এটা আপনার গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। কেন এগুলো ব্যাংকে জমা দিচ্ছেন। যদি ফেরত না পান। মেয়েটি উত্তরে বলেছিলেন আমার দেশ যদি থাকে, তাহলে আমি এগুলো ফেরত পাবো। যদি দেশ না থাকে, তাহলে বালা আর রিং এর কোনো মূল্য নেই এটাই হলো জাতীয়তাবোধ, এটাই হলো দেশপ্রেম। আমি-আপনে দেশকে ভালোবাসলে দেশের উন্নতি হবেই।
×